সারা দেশে বিপ্লবী ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে নবগঠিত কুমিল্লা মহানগরের বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়ক কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে জেলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বঞ্চিতরা পাল্টা কমিটি ঘোষণা করেছে।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯ টায় কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এই কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এই প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মহানগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সৈয়দ আজহারুল আমিন বলেন, ’আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঘোষিত কমিটিতে সমন্বয়ক ছিলাম। আমি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে প্রশ্ন রাখলাম, এই কমিটি আপনারা কীভাবে ঘোষণা দিলেন। যারা আন্দোলনের সময় নিজদের জীবন বাজি রেখেছিলেন তাদের কাউকে তো আমি এখানে দেখছি না। আমরা যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সম্মুখ সারিতে ছিলাম তাদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে কমিটিতে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এই কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করলাম।’
এ বিষয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অপর শিক্ষার্থী ফাতিন ইশরাক মোল্লা বলেন, ‘আন্দোলনের সময় যাদেরকে সমন্বয়ক হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, তাদের মধ্য থেকে নবগঠিত এই কমিটিতে ১০ জনকে রাখা হয়েছে কিনা তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। আমরা এই কমিটি মানি না। তাই আমরা নিজেরাই কমিটি গঠন করেছি।’
এসময় শিক্ষার্থীরা কেন্দ্র ঘোষিত কমিটিকে অবাঞ্চিত করে সৈয়দ আজহারুল আমিনকে আহবায়ক ও ফাতিন ইশরাক মোল্লাকে সদস্য সচিব করে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ঘোষণা করেন।
এছাড়া কমিটিতে তালহা জোবায়েরকে মুখ্য সংগঠক ও নাইমুজ্জামানকে মুখপাত্র করা হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী তালহা জোবায়ের, সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাইমুজ্জামান, ক্যান্ট. বোর্ড কলেজের গাজী মো. মুইনুদ্দিন ফাহিম, আসলাম সিদ্দিকী, নাজমুল নাদিম, মাহমুদুল সিফাতসহ কুমিল্লার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, এদিন বিকালে কুমিল্লা মহানগরীর ১৯৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটি।