বাংলা ব্যান্ড সংগীতকে যিনি অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম আইয়ুব বাচ্চু। তার গিটারের জাদুতে মোহিত হয়েছেন শ্রোতারা।
আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) গিটারের জাদুকর আইয়ুব বাচ্চুর জন্মদিন। বেঁচে থাকলে তিনি পদার্পণ করতেন ৬১ বছরে। হয়তো বেঁচে থাকলে অনুরাগীদের শুভেচ্ছা আর বন্ধুদের সঙ্গে কেক কেটে দিনটি উদযাপন করতেন তিনি।
আইয়ুব বাচ্চুর শৈশব কাটে চট্টগ্রামে। কৈশোরের চঞ্চল সময় থেকেই পাশ্চাত্য রক ধাঁচের গানের প্রতি আকৃষ্ট হন। একসময় গড়ে তোলেন নিজের ব্যান্ড ‘গোল্ডেন বয়েজ’। পরে এর নাম পাল্টে রাখেন ‘আগলি বয়েজ’। বিয়েবাড়ি, জন্মদিন আর ছোটখাটো নানা অনুষ্ঠানে গান করতো তাদের এই ব্যান্ড।
আশির দশকের শুরুতে আইয়ুব বাচ্চু যোগ দেন ‘সোলস’ ব্যান্ডে। এখানে ১৯৮৯ পর্যন্ত লিড গিটারিস্টের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় পর্যন্ত একের পর এক জনপ্রিয় অ্যালবাম উপহার দেন শ্রোতাদের।
সোলসে থাকার সময়ই আইয়ুব বাচ্চু একক কিছু অ্যালবামও বের করেন। তার প্রথম দুটি একক অ্যালবামের নাম রক্ত গোলাপ (১৯৮৬) ও ময়না (১৯৮৮)।
নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে তিনি ‘সোলস’ থেকে বের হয়ে ‘এলআরবি’ গঠন করেন। তবে, ‘এলআরবি’ নামের পেছনে ছোট্ট একটু ইতিহাস আছে। প্রথমে এর নাম রাখা হয়েছিল ‘ইয়েলো রিভার ব্যান্ড’। ব্যান্ড নিয়ে ভারতে ট্যুর করতে গেলে অনুষ্ঠানের উপস্থাপক তাদের ভুল করে ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’ নামে পরিচিত করান।
এই ভুল নামটিই পছন্দ হয়ে গেলে ব্যান্ডের নতুন নাম হয় ‘এলআরবি’। যদিও পরে এলআরবির অর্থ পাল্টে রাখা হয় ‘লাভ রানস ব্লাইন্ড’। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এই ব্যান্ডের সঙ্গেই ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু।
তারপর ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর রংপুর জিলা স্কুলে ‘শেকড়ের সন্ধানে’ নামে এক কনসার্টে পারফর্ম করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর দুইদিন পর বাসা থেকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। তার সম্মানে জন্মস্থান চট্টগ্রামে ২০১৯ সালে ‘রুপালি গিটার’ নামে একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়।