জুলাই ২৭, ২০২৪

শনিবার ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকে আওয়ামী লীগ না করলে কারও চাকরি হয় না: মির্জা ফখরুল

Mirza Fakhrul Islam Alamgir
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর | ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশটাকে জাহান্নামে নিয়ে গেছে সরকার। দেশের সকল কাঠামো ধ্বংস করেছে। আমাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট করেছে। আজকে আওয়ামী লীগ না করলে কারও চাকরি হয়না। দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ।

আজ রোববার (৯ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে দেশের প্রতিটি ব্যক্তির ওপর ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ঋণের বোঝা। এরপরও তারা বাজেট দেয় যেখানে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। আজকে এই সরকার দেশটাকে কোথায় নিয়ে গেছে? এরপরও যেসব বুদ্ধিজীবী তাদের প্রশংসা করেন তারা কী নিজেদের বিবেককে প্রশ্ন করেন? আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বলবো আপনারা জাতি গঠনে কাজ করুন। দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরি করুন। আজকে ডাকসু নির্বাচন নেই। কোনো নির্বাচন নেই। জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ড নিয়ে সারাদেশে ওয়ার্কশপ করার কথাও বলেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান নিজের সততা দিয়ে দেশের আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন । তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন জিয়াউর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমান তো চারটি বাদে সব গণমাধ্যম বন্ধ করেছিল। জাতীয় প্রেসক্লাব তো জিয়াউর রহমানের অবদান। অথচ তার নামই উচ্চারণ করতে চায় না।

তিনি আরও বলেন, আজকাল তো জিয়াউর রহমানের নাম নেওয়া যায় না। পরবর্তী প্রজন্ম তো তাকে স্মরণ করতে পারবে না। এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে তার সম্পর্কে কোনো কিছু লেখা নেই। এটা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে। যে লোকটি স্বাধীনতার ঘোষণা দিল তার নামই নাই।

বিএনপির এই মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের চরিত্র হচ্ছে কাউকে সহ্য করতে না পারা। তারা প্রথমত সহিষ্ণুতায় বিশ্বাস করে না। পক্ষান্তরে জিয়াউর রহমান সবার কথা শুনতেন। তিনি কথা কমই বলতেন। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ ও দক্ষ ব্যক্তি সবার সঙ্গে কথা বলে যে শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন তা বাংলাদেশে আর কখনো হয়নি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সন্ত্রাস নির্মূলে কাজ করেছেন। তিনি দেশের মানুষের মনের ভেতরে ঢুকে গিয়েছিলেন। তার অলৌকিক শক্তি দিয়ে তিনি মানুষকে কাছে টানতেন। আজকে তার সম্পর্কে আমরা ঠিকভাবে বলতে পারিনা। এতো সৎ মানুষ ছিলেন। কোনো স্বজনপ্রীতি ছিল না। নিকটাত্মীয়রাও কম আসতেন বাসায়। তার সততার ধারে কাছেও কেউ যেতে পারবেনা। যে কারণে তার কফিন ঢাকায় আনা হলে বন্যার পানির মতো মানুষ ভিড় জমতে থাকলো।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের সবচেয়ে বড় অবদান তিনি বাঙালি জাতিকে একটি নতুন পরিচিতি দিয়েছিলেন। সেটি হলো বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। তার কেবিনেটে দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিরা ছিলেন। দেশের সেরা মেধাবীদের নিয়ে তিনি যাত্রা শুরু করেছিলেন। প্রত্যেকটি শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে তিনি সমুদ্র দেখাতে নিয়ে গেছিলেন হিজবুল বাহারে করে।’