জুলাই-আগস্ট মাসে যে ধাক্কা লেগেছিল তা কাটিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠছে দেশের উৎপাদন খাত। যার প্রতিফলন ঘটেছে রপ্তানিতে। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে দেশের রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ দশমিক ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭১ বিলিয়ন ডলার বেশি। গত বছরের অক্টোবরে রপ্তানি আয় ছিল ৩ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ১০ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ১৫ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের তুুলনায় যা ১ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার বেশি।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়ে ১২ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ১১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার।
অক্টোবর মাসে তৈরি পোশাক খাত দেশের সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়কারী হিসেবে ৩ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা গত বছরের চেয়ে ২২ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
এছাড়াও অক্টোবর মাসে কৃষিপণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১১৩ মিলিয়ন ডলার। এ খাতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ শতাংশ।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় ১ শতাংশের সামান্য কমে ৮৩ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা গত বছরের অক্টোবরে ছিল ৮৪ মিলিয়ন ডলার।
এ বিষয়ে পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম গণমাধ্যমকে বলেন, গাজীপুর ও আশুলিয়ার কারখানাগুলোয় বেশ কিছুদিন অসন্তোষ চলার পর শ্রমিকেরা কাজে ফিরেছেন গত মাসে। তা ছাড়া শীত মৌসুম ও ক্রিসমাস উৎসবের জন্য পোশাক জাহাজীকরণ হচ্ছে। সে জন্য রপ্তানির গতি বেড়েছে।