মার্চ ২২, ২০২৫

শনিবার ২২ মার্চ, ২০২৫

র‍্যাবের বিলুপ্তি ও ডিজিএফআইয়ের তৎপরতায় সীমাবদ্ধ রাখার প্রস্তাব

Proposal to abolish RAB and limit its activities to DGFI
ছবি: প্রতিনিধি

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) বিলুপ্ত করা, বিজিবিকে সীমান্তসংক্রান্ত বিষয় ছাড়া অন্য কিছুতে যুক্ত না করা এবং ডিজিএফআইয়ের কাজ সামরিক গোয়েন্দা তৎপরতায় সীমাবদ্ধ রাখার প্রস্তাব দিয়েছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে এবং অভ্যুত্থান পরবর্তী সহিংসতার বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়নে রোডম্যাপ প্রণয়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এইচআরএফবির পক্ষে টিআইবি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।

সংস্থাটির অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ সংরক্ষণ ও ধ্বংস বা লুকানোর চেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, ভুক্তভোগীকেন্দ্রিক ক্ষতিপূরণ প্রক্রিয়ার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ নিশ্চিত করা, সামরিক ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের ক্ষেত্রে নিয়মিত আদালতে বিচার নিশ্চিত করা, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন প্রসিকিউশন সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করা, বিচার বিভাগের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দ ও জনবল, বিচারকদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ রোধ করা।

মৃত্যুদণ্ডের প্রয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া এবং তা সম্পূর্ণ বাতিলের দিকে অগ্রসর হওয়া, গুমসংক্রান্ত জাতীয় কমিশনকে সহায়তা এবং পর্যাপ্ত সম্পদ সরবরাহ করা, আটকের সমস্ত গোপন স্থান সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করা, বাংলাদেশের পুলিশ প্রবিধানগুলিকে সংশোধন করা। পুলিশ ও অন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে ধাতব (প্রাণঘাতী) গুলি দেওয়া কমিয়ে দেওয়া, নির্বিচারে গণগ্রেপ্তার ও ভুয়া মামলার প্রবণতা বন্ধ করা, নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য বাধ্যতামূলক আদেশ জারি এবং প্রয়োগ করা, নাগরিক সমাজসহ সরকার, বিরোধী দল এবং স্বাধীন সদস্যদের সমন্বয়ে একটি জাতীয় পুলিশ কমিশন গঠন করা যার নেতৃত্বে একটি ন্যায্য স্বচ্ছ এবং যোগ্যতাভিত্তিক নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি এবং অপসারণ প্রক্রিয়া চালু করা।

এছাড়া একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশনের মাধ্যমে পুলিশ, গোয়েন্দা, বিজিবি, আনসার ভিডিপি এবং সশস্ত্র বাহিনীর যেসব কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের পদ থেকে অপসারণ করা, জাতিসংঘ শান্তি মিশন বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক মিশনে নিয়োজিত কোনো বাংলাদেশীকর্মী যাতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার, মানবিক বা শরণার্থী আইন লঙ্ঘন বা যৌন হয়রানি বা অপব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য একটি কার্যকর এবং শক্তিশালী স্বাধীন মানবাধিকার স্ক্রিনিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তাব করা হয়েছে।