নভেম্বর ১৮, ২০২৪

সোমবার ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্র বলে কয়ে কিছু করে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র বলে কয়ে কিছু করে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র বলে কয়ে কিছু করে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ওপর নতুন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের আশঙ্কার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র বলে কয়ে কিছু করে না। তাই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসবে কি না, সেই বিষয়ে কিছু জানি না। যুক্তরাষ্ট্র তো হাজার হাজার স্যাংশন দিচ্ছে। আশা করি তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।

সোমবার (২২ মে) সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কাতার সফর বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের নেপথ্য কারণ জানতে চেয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিবিদেরা অনেক কিছু বলেন, যাতে অন্যদের জন্য সতর্কবাণী থাকে। জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরে ১৩ মে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব দেশ নিষেধাজ্ঞা দেবে, আমরা তাদের কাছ থেকে কিছু কিনব না।’

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মোমেন বলেন, ‘মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসবে কি না জানি না। তারা তো বলে কয়ে কিছু করে না। গতকাল কৃষিমন্ত্রীও বলেছেন যে দেশে সেংশনের কোনো কারণ নেই। এটা হলে দুঃখজনক হবে। যুক্তরাষ্ট্রতো হাজার হাজার সেংশন দিচ্ছে। আমি আশা করি, তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রতিনিধি এসেছিলেন তাদের বক্তব্য অত্যন্ত পজিটিভ ছিল। সে ক্ষেত্রে আপনারা যে তথ্য দিলেন এ বিষয় আমাদের জানা নেই।’

তিনি বলেন, একটি দৈনিক পত্রিকার এক প্রতিবেদনে যে তথ্য দিয়েছে সেটা মিথ্যা তথ্য। সেখানে বলেছে আমি মন্ত্রী হওয়ার আগে চায়নিজ প্রতিষ্ঠানে লবিস্ট হিসেবে কাজ করেছি, এটা ডাহা মিথ্যা। বরং বলতে পারেন আমি সারাজীবন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম, সেখানে কাজ করেছি।

মার্কিন দূতাবাস নাগরিকদের দেশে চলাচলে ভ্রমণ সতর্কতা দিয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। আরও সাত আট মাস পর নির্বাচন হবে। তাদের জিজ্ঞেস করেন তারা কেন এই সতর্কতা দিল। আমাদের দেশে হত্যা নেই, গুলি করে কাউকে মারা হয় না।

পরররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এত ভালো হয়েছে যে পুলিশ কোনো ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে অপরাধী ধরে নিয়ে আসে। তারা খুব ভালো কাজ করছে। আমাদের দেশে এমন কোনো কারণ নেই যে সহিংসতা হবে। বরং কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্রে গেলে সতর্ক করা উচিত সেখানে শপিং মলে, স্কুলে, বারে গেলে সতর্ক থাকতে হবে।