আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য লম্বা ছুটির সুযোগ পাচ্ছেন। ঈদ উপলক্ষে ইতোমধ্যে পাঁচ দিনের টানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে, এই পাঁচ দিনের ছুটির আগে ও পরে রয়েছে মহান স্বাধীনতা দিবস, শবে কদর ও সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে, এবার কার্যত লম্বা ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে দেশ। ঈদের আগে ও পরে ১১ দিনের মধ্যে মাত্র ২ দিন অফিস খোলা থাকবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৩১ মার্চ পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হতে পারে। এই সম্ভাব্য তারিখ ধরেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পাঁচ দিনের ছুটির তারিখ নির্ধারণ করেছে। এই হিসেবে, ২৯ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে ঈদুল ফিতরের পাঁচ দিনের ছুটি। অর্থাৎ, ২৯, ৩০, ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি থাকবে। এর মধ্যে ঈদের দিন সাধারণ ছুটি এবং ঈদের আগের দুই দিন ও পরের দুই দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকবে।
তবে, নির্ধারিত ছুটি শুরুর আগের দিন ২৮ মার্চ সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার। একই দিনে পবিত্র শবে কদরেরও ছুটি। এই ছুটি শুরুর আগে আবার ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের ছুটি রয়েছে। এর পরদিন ২৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) একদিন অফিস খোলা থাকবে।
অন্যদিকে, ছুটি শেষে আগামী ৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) অফিস খুলবে। এর পরের দুই দিন আবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। অর্থাৎ, ২৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ দিনের মধ্যে অফিস চলবে মাত্র ২ দিন (২৭ মার্চ ও ৩ এপ্রিল)। একদিন ঈদের আগে ও আরেকদিন ঈদের পরে।
এছাড়া ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। নিলে তা টানা ছুটি হয়ে যাবে। অবশ্য অর্জিত ছুটি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
