শুক্রবার ১৮ জুলাই, ২০২৫

পিটিয়ে মারার অধিকার রাষ্ট্র কাউকে দেয়নি

প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

মুরাদনগরের কড়ইবাড়ি গ্রামে এক নারীসহ একই পরিবারের তিনজনকে মাইকিং করে ডেকে এনে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের উপস্থিতি ও ইন্ধনে, এই বিভত্স হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়—যা পূর্বপরিকল্পিত, নির্মম এবং মানবতাবিরোধী।

ওই পরিবার সম্পর্কে নানা অভিযোগ থাকলেও, তাদের বিচার করার একমাত্র অধিকার রাষ্ট্র ও আইনের। কিন্তু শত শত মানুষের সামনে রক্তাক্ত করে তোলা দেহগুলো পড়ে থাকল, আর মানুষ দেখল—নির্বিকার চোখে, নীরব আনন্দে! এমন নিষ্ঠুরতা সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না।

লেখক: রুবেল মজুমদার

সংবাদ সংগ্রহে বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে যাহা বুঝেছি, এ হত্যাকাণ্ড শুধু এক পরিবারের মৃত্যু নয়—এটা আমাদের আইনের শাসনের, মানবতার এবং বিবেকেরও মৃত্যু। আজ যদি বিচারহীনতার সুযোগে খুনিরা পার পেয়ে যায়, তাহলে এমন ভয়াবহ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবেই।

এই দেশে আইন আছে, আদালত আছে। কিন্তু যদি আমরা নীরব থাকি, তাহলে কাল ইতিহাস আমাদেরও দায়ী করবে। এখনই সময় আইনের পক্ষে, মানবতার পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর।

রুবেল মজুমদার, গণমাধ্যম কর্মী।

আরও পড়ুন