ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নেতৃত্ব দেওয়া উচিত তরুণ সমাজের। দেশের দায়িত্ব তাদের হাতেই থাকা উচিত, বৃদ্ধ প্রজন্মের হাতে নয়। …তরুণ প্রজন্মের হাতে দায়িত্ব দিয়ে নিজেদের মতো তাদের দেশকে গড়ে নিতে দেওয়া উচিত। এটা তাদের দেশ, তারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন—আমরা এটা দেখেছি।
গতকাল শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পলায়ন এবং ছাত্র-জনতার জয়কে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন শান্তিতে নোবেলবিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এদিকে সাক্ষাৎকারের শুরুতে ইউনূসের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর তার প্রথম চিন্তা কী ছিল।
উত্তরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘প্রথম চিন্তা ছিল, স্বাধীনতা। আমরা স্বাধীন হয়েছি। আমরা এখন স্বাধীন দেশ।’
ইউনূস আরও বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) যতদিন এখানে ছিলেন, আমরা ছিলাম দখল হয়ে যাওয়া একটি দেশে। এখানে শেখ হাসিনা যে আচরণ করছিলেন তা দখলদার বাহিনী, একজন স্বৈরশাসক, একজন জেনারেল এবং আরও অনেকের মতো। তিনি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। আজ বাংলাদেশের সব মানুষ নিজেদেরকে স্বাধীন মনে করছেন। দেশের সর্বত্র এখন দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন উদ্যাপিত হচ্ছে।’
এই নোবেলজয়ী বলেন, ‘এই আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই তরুণদের অভিনন্দন। তারা আমাদেরকে স্বাধীন করেছেন, সবাইকে একত্রিত করেছেন। সবাই স্বাধীনতার আনন্দ উপভোগ করছেন।’
এখন নতুন করে সবকিছু শুরু করে ‘নিজেদের জন্য সুন্দর দেশ গড়ে তোলার’ সময় বলে উল্লেখ করেন ইউনূস। ‘আর আমাদের ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দেবেন শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজ। আমি সেদিকেই তাকিয়ে আছি।’
‘খুব শীঘ্রই’ বাংলাদেশে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করে এই নোবেলজয়ী বলেন, ‘নেতৃত্ব দেওয়া উচিত তরুণ সমাজের। দেশের দায়িত্ব তাদের হাতেই থাকা উচিত, বৃদ্ধ প্রজন্মের হাতে নয়। …তরুণ প্রজন্মের হাতে দায়িত্ব দিয়ে নিজেদের মতো তাদের দেশকে গড়ে নিতে দেওয়া উচিত। এটা তাদের দেশ, তারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন—আমরা এটা দেখেছি।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তার ভূমিকা কী হবে?
জবাবে এই নোবেলজয়ী বলেন, ‘আমি জনগণের সঙ্গে আমার কাজ অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাব। তা হলো সামাজিক ব্যবসা এবং সবকিছু। আরও মুক্ত পরিবেশে আমার কাজ অব্যাহত রাখব। শেখ হাসিনার শাসনামলে এমন পরিবেশ পাইনি। কারণ তিনি সবসময় আমাকে আক্রমণ করেছেন।’