চলতি মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মৃত্যু হয়েছে ২২৫ জনের। সারাদেশের ১৩০ হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি আছেন ৭ হাজার ৫৮২ জন।
আর এখন পর্যন্ত ৯৯ হাজার ৯৯৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খাতায় নেই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের গেল ২০ দিনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৮ হাজার ১৬২ জন। সবশেষ প্রাণ যাওয়া ১০ জনের মধ্যে ৬ জনই মারা গেছেন রাজধানীর হাসপাতালে। ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ৯২ ভাগ সুস্থ্য হয়ে ঘরে ফিরেছেন। আক্রান্ত ১০০ জনের মধ্যে ৮ জন ভর্তি থাকছেন হাসপাতালে।
দেশে সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ঘটনা ঘটেছিল ২০১৯ সালে। ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ রোগী এবং মারা যান ১৬৪ জন। বাংলাদেশে প্রথম ডেঙ্গু শনাক্ত হয় ১৯৬৫ সালে। তখন এই রোগটি ঢাকা ফিভার নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু ২০০০ সালের পর থেকে রোগটির সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ২০০০ সালে দেশে ডেঙ্গু শনাক্ত হলেও ২০২২ সালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ ছিল। সেই বছরে দেশে সর্বোচ্চ মারা যায় ২৮১ জন। তখন এটাই ছিল সর্বোচ্চ প্রাণহানি।
আর চলতি বছরে দেশে গত ৩রা আগস্ট মৃত্যুর সেই রেকর্ড অতিক্রম করে।