আওয়ামী লীগ এতদিন যা করেছে, তা রাজতন্ত্রের আদলে পরিবারতন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, একটি ফ্যাসিস্ট রেজিম চলে গেলে মানুষের আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যায়। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের এজেন্ডা নয়, এটা সবার অঙ্গীকার।
গতকাল শনিবার বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক এহসান মাহমুদ রচিত ‘স্বাধীনতা গণতন্ত্র মানবাধিকার: আওয়ামী লীগের শাসনামল ২০০৯-২০২৩’ শীর্ষক বইয়ের পাঠ পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘মানবাধিকার বলতে যা বোঝায় তা আমরা একদমই পাইনি। কোনো সাংবাদিক দেখা যেতো—একটা কলাম লেখায় ওই পত্রিকা অফিসেই আর তার কাজ করার সুযোগ থাকতো না। টেলিভিশনে বলে দেওয়া হতো কারা কারা যাবে। স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এগুলো বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের সংস্কার প্রয়োজন। ফ্যাসিস্টদের প্রেতাত্মারা এখনও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোও ফ্যাসিজমের কমান্ড শুনে অভ্যস্ত। ফলে বড় ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা দু-একদিনের মধ্যে সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বসবো।
সভায় আরও ছিলেন দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, নেত্র নিউজের প্রধান সম্পাদক তাসনিম খলিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন এবং লেখক ও গবেষক পারসা সানজানা সাজিদ।