
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় আছাদপুর গ্রামে মাজারে হামলা ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর উপজেলা ও থানা পুলিশ ১০টি মাজারের নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এসব মাজারে পুলিশ সদস্যদের পাহারায় দেখা গেছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর টহলও চালানো হচ্ছে।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, “কোনো মাজারে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে তা নিশ্চিত করতে আছাদপুরের কফিল উদ্দিন শাহর মাজার, হাওয়ালী শাহ (বাবুল), আবদু শাহর মাজার এবং পঞ্চবটির সোলেমান শাহর মাজারসহ উপজেলার ১০টি মাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
ঘটনার সূত্রপাত হয় বুধবার। ‘বেমজা মহসিন’ নামের একটি আইডি থেকে মহানবি হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে কটূক্তি করে একটি পোস্ট দেওয়ার পর এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পুলিশ মহসিনকে গ্রেপ্তার করে। একই দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইসলামী যুব সেনা হোমনা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম মহসিনের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে থানায় মামলা করেন।
পরের দিন সকালে উত্তেজিত জনতা জড়ো হয়ে মাজার ও মহসিনের বাড়িতে হামলার ঘোষণা দেয়। প্রথমে মহসিনের বসতবাড়িতে হামলা চালানো হয়, পরে কফিল উদ্দিন শাহর মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। মাজার চত্বরে থাকা তিনটি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়, যা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ইউনিট নিয়ন্ত্রণে আনে।
হামলাকারীরা মিছিল নিয়ে গ্রামের আবদু শাহর মাজার, কালাই (কানু) শাহর মাজার ও হাওয়ালি শাহর মাজারেও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খাঁন ও হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, এ ঘটনায় কারো ইন্ধন আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।










