
জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫, সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মতামত নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
কমিশন এই উদ্দেশ্যে চারটি পৃথক প্রশ্নমালা তৈরি করেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার বিষয়ে সাধারণ নাগরিকদের মতামত জানতে জাতীয় বেতন কমিশন-২০২৫ অনলাইন জরিপ শুরু করেছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া এই জরিপ চলবে আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
কারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন?
চারটি ভিন্ন প্রশ্নমালায় নিম্নলিখিত ক্যাটাগরির সদস্যরা তাদের মতামত জানাতে পারবেন:
- সরকারি চাকরিজীবী
- সাধারণ নাগরিক
- সরকারি প্রতিষ্ঠান
- অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতির সদস্যরা
প্রশ্নমালা ও সময়সীমা
এই প্রশ্নমালাগুলো আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত কমিশনের ওয়েবসাইটে (paycommission2025.gov.bd) পাওয়া যাবে।
- অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতির সদস্যরা যদি কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ইচ্ছুক হন, তবে তাদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নমালা পূরণ করে এই আগ্রহের কথা জানাতে পারবেন।
- প্রাপ্ত সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতেই বেতন কমিশন সরকারের কাছে তাদের সুপারিশমালা পেশ করবে বলে জানিয়েছে।
- ওয়েবসাইটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে পরামর্শদাতার ব্যক্তিগত তথ্য কেবল দাপ্তরিক কাজেই ব্যবহৃত হবে।
সাধারণ নাগরিকের জন্য প্রশ্নমালায় কী আছে?
ওয়েবসাইটে সাধারণ নাগরিক ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে দেখা যায়, শুরুতেই কমিশন সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত পরিচিতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫-এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের জন্য ব্যাপকভিত্তিক ও টেকসই বেতন কাঠামো প্রণয়ন করা। এই কাঠামোটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি এবং উন্নয়ন কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। কমিশনের সুপারিশ প্রণয়নে সর্বস্তরের মতামত গ্রহণের লক্ষ্যেই এই জরিপের প্রশ্নমালা তৈরি করা হয়েছে।
জরিপে যা জানতে চাওয়া হয়েছে:
সাধারণ নাগরিকদের প্রথমে তাদের বিভাগ ও জেলা সিলেক্ট করে প্রবেশ করতে হবে। এরপর তাদের নাম (ইংরেজিতে), পেশা, বয়স, লিঙ্গ ও বাসস্থান সম্পর্কিত প্রাথমিক তথ্য দিয়ে ‘পরবর্তী ধাপ’ ট্যাবে ক্লিক করতে হবে।
- মূল প্রশ্নমালায় মোট ৩২টি প্রশ্ন রাখা হয়েছে।
- এসব প্রশ্নের মধ্যে রয়েছে— মূল বেতন কত হওয়া উচিত, বাসাভাড়া কেমন হওয়া প্রয়োজন, মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় কত বছর পর পর বেতন বৃদ্ধি হওয়া প্রয়োজন, কী কী বিবেচনায় বেতন বৃদ্ধি করা উচিত এবং বেতন বৃদ্ধি করলে সরকারি চাকরিজীবীদের দুর্নীতি কমবে কিনা— এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
- প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে হবে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’-এর মাধ্যমে।
এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই গেজেটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। এর জন্য পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে না।
তিনি আরও জানান, চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটেই এই খাতে প্রয়োজনীয় তহবিল বরাদ্দ রাখা হবে।








