মঙ্গলবার ২৬ আগস্ট, ২০২৫

সংস্কৃতির মাধ্যমে সুদৃঢ় হচ্ছে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

বাসস

Rising Cumilla - Rizwana Hasan
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান | ছবি: পিআইডি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ ও চীন একসঙ্গে এগিয়ে চলেছে। সংস্কৃতির মাধ্যমে আরো সুদৃঢ় হচ্ছে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক।

বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর এবং ‘ইয়ার অব পিপল-টু-পিপল এক্সচেঞ্জেস’ উপলক্ষে তিনি বলেন, শুধু বাণিজ্য ও সংযোগ নয়, সর্বোপরি জনগণের হৃদয়ের বন্ধনও হয়েছে দৃঢ়।

সোমবার জাতীয় জাদুঘরে ‘রেডিয়েন্ট স্টারস: লিংজিয়াতান কালচার ফটো এক্সিবিশন ফ্রম আনহুই, চায়না’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সাংস্কৃতিক কূটনীতি ছিল মুখ্য। শিল্পকলা, সাহিত্য, সংগীত, প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘরের বিনিময়ের মাধ্যমে আমরা শুধু নিদর্শনই নয়, আদর্শ, দৃষ্টিভঙ্গি ও জীবনদর্শনও ভাগাভাগি করেছি।

এই প্রদর্শনীকে ‘সভ্যতার মধ্যে সংলাপ এবং বন্ধুত্বের উৎসব’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি বলেন, এই সম্পর্ক সবসময়ই শুধু বাণিজ্য ও অবকাঠামোর সীমা ছাড়িয়ে গেছে।

উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, সংস্কৃতি আমাদের স্থাপত্য, বৌদ্ধ ঐতিহ্য ও শিল্পচর্চাকে প্রভাবিত করেছে। অপরদিকে বাংলাদেশি হস্তশিল্প, সংগীত ও সাহিত্য চীনে সমাদৃত হয়েছে বহু আগে থেকেই। এই প্রদর্শনী সেই ঐতিহ্যেরই ধারাবাহিকতা।

লিংজিয়াতানের জেড শিল্পকর্ম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলো মানুষ ও প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য ও আধ্যাত্মিক ভারসাম্যের প্রতীক। তিনি মহাস্থানগড়, উয়ারি-বটেশ্বর ও পাহাড়পুরের মতো বাংলাদেশের প্রাচীন নিদর্শনের সঙ্গে এর মিল খুঁজে পান উল্লেখ করে বলেন, প্রদর্শনীটি বাংলাদেশের সভ্যতার যাত্রার সঙ্গে গভীরভাবে সঙ্গতিপূর্ণ এবং সমকালীন জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার তথ্য প্রদান করে।

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও আনহুই মিউজিয়ামের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারককে তিনি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে যৌথ প্রদর্শনী, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও একাডেমিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।

আনহুই প্রদেশের ব্রোঞ্জ প্রতিলিপি ও ‘ফোর ট্রেজারস অব দ্য স্টাডি’ উপহার দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান এবং জাতীয় জাদুঘরের স্থায়ী ‘চায়না কর্নার’-এ এটি স্থাপনকে বন্ধুত্বের স্থায়ী প্রতীক হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চীনের আনহুই প্রদেশের ভাইস গভর্নর সান ইয়ং, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মফিদুর রহমান, বাংলাদেশ-চীন কালচারাল ইকোনমিক অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন সেন্টারের সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর লি শাওপেংসহ কিউরেটর, কর্মকর্তাবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।

পরে উপদেষ্টা জাতীয় জাদুঘরের প্রদর্শনী ও চায়না কর্নার পরিদর্শন করেন। এই প্রদর্শনী ২৫ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

আরও পড়ুন