ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪

শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে চলতি মাসেই ঘোষণার ইঙ্গিত ড. ইউনূসের

Rising Cumilla - The announcement of reforms and national elections this month indicated. of Yunus
ছবি: সংগৃহীত

সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে চলতি মাসেই ঘোষণা আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে নেওয়া উচিত।

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, পুরোনো প্রচলিত সমস্যা পরিহারে নির্বাচন সংক্রান্ত কতিপয় সংস্কার নির্বাচনের আগেই শেষ করা জরুরি।

গতকাল সোমবার ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠককালে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় তাদের প্রস্তাবগুলো অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তাদের সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের অপেক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার যদি এখন নির্বাচন দেয়, তবে সেটা হবে সেকেলে এবং তখন পুরোনো সব সমস্যা আবারও ফিরে আসবে।

প্রধান উপদেষ্টা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন, যার জন্য নতুন নীতি এবং নতুন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রয়োজন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন করতে খুবই আগ্রহী, আমরাও নির্বাচন করতে আগ্রহী।

কূটনীতিকদের উদ্দেশে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি জনগণকে সরকারের দুটি দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত করার চেষ্টা করছেন- একটি হলো নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং অন্যটি হলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করা।

তিনি বলেন, ১৫টি বিভিন্ন কমিশন রয়েছে এবং সরকার আশা করছে, চলতি মাসের শেষ থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত এই কমিশনগুলো তাদের প্রতিবেদন পেশ করবে।

নির্বাচনী প্রক্রিয়া সংস্কার হলে সরকার নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেবে বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, দুটি প্রক্রিয়া আমাদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য খুবই রোমাঞ্চকর মুহূর্ত যে, এটি আমাদের বিজয়ের মাস এবং বৈঠকটি একটি বিশেষ মুহূর্ত। এটাই বাংলাদেশের প্রতি আপনাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কিছু অপপ্রচার ও ভুল তথ্য প্রচারের পরও বাংলাদেশে শক্তিশালী ঐক্য বিরাজ করছে, বলেন অধ্যাপক ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও শ্রম খাতে সংস্কারের বিভিন্ন উদ্যোগ উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠকে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রদূতরা হলেন- ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রস্টার, ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো, স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিস্তিয়াগা ওচোয়া ডি চিনচেত্রু, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, রাষ্ট্রদূত ও ইইউ প্রধান মাইকেল মিলার, ঢাকায় নেদারল্যান্ডসের অন্তবর্তী চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আন্দ্রে কারস্টেন্স এবং বাংলাদেশে প্রতিনিধিদল।

নয়াদিল্লিতে ইইউ মিশনের প্রধান/প্রতিনিধি

বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত দিদিয়ের ভ্যান্ডারহ্যাসেল্ট, বুলগেরিয়ার রাষ্ট্রদূত নিকোলেই ইয়ানকভ, এস্তোনিয়ার রাষ্ট্রদূত মার্জে লুউপ, লুক্সেমবার্গের রাষ্ট্রদূত পেগি ফ্রানৎজেন, স্লোভাকিয়ার রাষ্ট্রদূত রবার্ট ম্যাক্সিন, সাইপ্রাসের হাইকমিশনার ইভাগোরাস ভ্রায়োনাইডস, হাঙ্গেরিয়ান দূতাবাসের প্রথম সচিব গাবর জুকস, পোল্যান্ডের কাউন্সেলর জারোস্লো জেরজ গ্রোবেরেক, পর্তুগালের ডেপুটি হেড অব মিশন সোফিয়া বাতালহা, স্লোভেনিয়ার প্রথম সচিব ইরমা সিনকোভেক, রোমানিয়ার দ্বিতীয় সচিব রুক্সান্দ্রা সিওকানেলিয়া।