
কুমিল্লার লাকসামে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় আহত এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভের সন্তানও মারা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লাকসাম-নাঙ্গলকোট সড়কের দামবাহার নামক স্থানে বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ৬০ বছর বয়সী মাজেদা খাতুন এবং ২০ বছর বয়সী অটোরিকশা চালক রাসেল মিয়া। আহতদের মধ্যে আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে কুমিল্লা থেকে নাঙ্গলকোটগামী একটি কুমিল্লা সুপার যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয়দের মতে, অটোরিকশার যাত্রীরা উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রাম থেকে আজগরা ইউনিয়নের নাওটি গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে ফিরছিলেন।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে লাকসাম এবং কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়। আহত ১০ জনের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।
গুরুতর আহত মোহাম্মদপুর গ্রামের মাজেদা খাতুন রাত সোয়া ৮টার দিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অন্যদিকে, অটোরিকশা চালক রাসেল মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এই দুর্ঘটনায় পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অন্তঃসত্ত্বা মিনা আক্তারের গর্ভের সন্তানও মারা গেছে। এই মর্মান্তিক খবরটি নিশ্চিত করেছেন নাওটি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মোরশেদ আলম।
এ বিষয়ে লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ নাজনীন সুলতানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান যে, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দুজনের হাত-পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে, যেগুলো উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, লাকসাম-নাঙ্গলকোট সড়কটি তুলনামূলকভাবে সরু এবং ব্যস্ত হওয়ায় প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তারা দ্রুত এই সড়কের উন্নয়ন এবং উন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।