বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদের জনক শেখ হাসিনার রাতের গুম হারাম করে দিতে যে জেলা সে জেলা হচ্ছে কুমিল্লা। যে জেলাকে নিয়ে শেখ হাসিনা সবচেয়ে ভয়ে থাকতো তার নাম কুমিল্লা। কুমিল্লার সন্তানরা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে তার যে জায়গা সেই জায়গা ভারতে পাঠিয়েছে।’
গতকাল শনিবার বিকেলে কুমিল্লার লাকসাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জুলাই বিপ্লবের বীর সেনানীদের সংবর্ধনা প্রদানকালে এসব কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘এই মাদার অব টেরর (শেখ হাসিনা) ভারতে গিয়েও দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরকে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকবে হবে। ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে, আর কখনো যেন ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক বলেন, ‘শেখ হাসিনা বিরুদ্ধে যে গণঅভুত্থান তার ক্রেডিট আমরা সকলে যার যার অবস্থান থেকে নিব। কিন্তু ক্রেডিট নিয়ে গিয়ে যেন আমরা দেশের স্বার্থে কোন ধরনের কম্প্রোমাইজ না করি তা খেয়াল রাখতে হবে। যত বাধাই আসুক গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার ও রাজনীতির অধিকার ফিরে দেওয়ার জন্য কেউ যদি আন্দোলনে নাও থাকে বৈষম্য আন্দোলন এসব অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন চালিয়ে যাব। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া-রূপসা থেকে পাটুরিয়া এক ইঞ্চি জায়গাও ফ্যাসিবাদকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
উক্ত অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও আন্দোলনে নিহত লাকসাম-মনোহরগঞ্জের তিন শহীদ পরিবারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।