আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ও সরবরাহ বাড়াতে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দ্বিতীয় চালানে ভারত থেকে কার্গো রেলে ১৯লাখ কেজি এক হাজার ৯০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে।
এদিকে ভারতীয় আলু ও নতুন আলু বাজারে সরবরাহ বাড়ায় কমছে দাম। প্রতি কেজিকে কমেছে ১৫টাকা। ৬৫ থেকে ৭০টাকায় বিক্রি হচ্ছে এক কেজি আলু।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে কার্গো রেলে করে বেনাপোল বন্দর রেল স্টেশনে আলুর চালানটি প্রবেশ করে।
বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান জানান, ভারতের মালদার ডিলাক্স ইন্টারন্যাশনাল নামে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আলুর চালানটি রপ্তানি করেছে। আমদানিকারক রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ। একটি কার্গো ট্রেনের ৪২ওয়াগানে ৩৮ হাজার ব্যাগ আলু আমদানি হয়েছে। যার ওজন ১৯ লাখ কেজি। পণ্য চালানটির আমদানি মূল্য ৪ লাখ ৩৭ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় প্রতিকেজি আলুর মূল্য দেখানো হয়েছে ২৭ টাকা ৬০ পয়সা।
পণ্য চালানটি খালাস করা হবে যশোর নওয়াপাড়ায়। বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট মেসার্স বাংলাদেশ লজিষ্টিক সার্ভিস (বিএলএস) পণ্য চালানটি ছাড় করানোর জন্য বেনাপোল কাস্টম হাউজে কাগজপত্র জমা দেওয় হয়েছে।
কাস্টমস ও রেলস্টেশনের কার্যক্রম সম্পন্নের পর বেনাপোল বন্দর থেকে নওয়াপাড়ায় আলু খালাসের জন্য নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে নওয়াপাড়া থেকে আলুগুলো ঢাকা এবং চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হবে জানিয়েছেন আমদানিকারক প্রতিনিধিরা।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আবু তাহের জানান, মালবাহী ট্রেনে ভারতের পাঞ্জাবের কার্তারপুর-৩ শহর থেকে আলুগুলো এসেছে। আমদানিকারক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর দ্রুত খালাস দেওয়ার জন্য সহযোগিতা করা হয়েছে।
বিক্রেতা শাহবদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ৪দিন আগে ৮০ থেকে ৯০ টাকা বিক্রি হলেও কমেছে দাম, নতুন আলু ৮০ পুরানো আলু ৬৫ থেকে ৭০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এর আগে ১২ ডিসেম্বর ট্রেনে ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়। আমদানিকারক ছিলেন রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেসার্স টাটা ট্রেডার্স। আলুর পণ্য চালানটি খালাস করা হবে বলে জানান আমদানির সাথে সংশ্লিষ্টরা।