ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ককটেল হামলায় পুলিশ সদস্যদের আহত করার মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পুলিশের মনোবল নষ্ট হলে ৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতির মতো লাঠিসোটা হাতে নাগরিকদের নিজের বাসাবাড়ি নিজেদেরই পাহারা দিতে হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকালে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
কমিশনার সাজ্জাত আলী জানান, বুধবার রাতে পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে কর্তব্যরত এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, “এ ধরনের নাশকতা পুলিশের মনোবল দুর্বল করে। এমন ঘটনা চলতে থাকলে এর ভুক্তভোগী নাগরিকরাই হবেন।”
তিনি নাশকতার বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগের নির্দেশনা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, “নাশকতার ঘটনায় গুলি করার বিধান পুলিশ আইনেই রয়েছে। ককটেল মেরে নাশকতা করলে আইনের কঠোর প্রয়োগের নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।”
এছাড়াও, তিনি পুলিশ সদস্যদের প্রতি সাধারণ মানুষের আচরণের বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। অনুরোধ করব পুলিশের সঙ্গে এমন আচরণ করবেন না।”
শেখ মো. সাজ্জাত আলী বর্তমান সময়ের অপরাধ প্রবণতা নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি ও অনলাইন গ্যাম্বেলিংয়ের মতো অপরাধ এখন মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে গভীরভাবে হুমকির মুখে ফেলছে। এই প্রেক্ষাপটে জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ডিএমপি তার সাইবার সক্ষমতা আরও বাড়িয়েছে।
নতুন এই সাইবার সাপোর্ট সেন্টারে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ল্যাব, দক্ষ তদন্ত টিম, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স ইউনিট থাকবে। নাগরিকরা ফেসবুক পেজ, ইমেইল ও ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
