মঙ্গলবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৫

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৬ ডিগ্রি

রাইজিং কুমিল্লা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

দেশের সর্বউত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে স্পষ্ট হয়ে উঠছে শীতের তীব্রতা। গত কয়েকদিন ধরে ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত হিমেল হাওয়া এবং বাতাসে উচ্চ আর্দ্রতার কারণে জেলাজুড়ে শীতের উপস্থিতি বেশ ভালোভাবেই টের পাওয়া যাচ্ছে। তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী হওয়ায় জনজীবনে শীতের আমেজ এখন দৃশ্যমান।

তাপমাত্রা ও আবহাওয়ার পরিস্থিতি আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। যদিও ঘন কুয়াশা না থাকায় দৃষ্টিসীমা স্বাভাবিক ছিল এবং সকালের পর ঝলমলে রোদের দেখা মিলেছে, তবুও বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য ও হিমেল হাওয়ার কারণে শরীরে হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে।

এর আগের দিন, শনিবার (২২ নভেম্বর) একই সময়ে তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রার এই পতন শীতের তীব্রতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের দেখা মিললেও দিন ও রাতের তাপমাত্রার বড় পার্থক্যের কারণে সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি থাকছে।

জনজীবনে প্রভাব ভোররাত থেকেই দেবীগঞ্জ, বোদা, আটোয়ারী ও পঞ্চগড় সদরসহ পুরো জেলায় শীতল বাতাস বইছে। স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের অনুভূতি আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত শীতবস্ত্র ছাড়া বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।

আবহাওয়াবিদের পূর্বাভাস শীতের এই পরিস্থিতি সম্পর্কে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “গত এক সপ্তাহ ধরে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ওঠানামা করছিল, তবে রবিবার তা অনেকটাই কমে এসেছে। আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও নিচে নেমে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, বর্তমান আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি বলছে, ডিসেম্বরের শুরুতেই উত্তরাঞ্চলে শীত পুরোপুরি জেঁকে বসবে।

আরও পড়ুন