মঙ্গলবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৫

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ঘোষণা হবে: ইসি সানাউল্লাহ

বাসস

Rising Cumilla -Election Commissioner Brigadier General (Retd.) Abul Fazal Md. Sanaullah
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ/ছবি: সংগৃহীত

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বর মাসের প্রথমার্ধে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য আর বেশি দেরি নেই এবং ডিসেম্বর মাসের প্রথমার্ধের যেকোনো একদিন তা ঘোষণা করা হবে। “সেটা একসময় আপনারা জানতে পারবেন,” তিনি যোগ করেন।

এ তথ্য তিনি আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বিতীয় ভাগের সংলাপের উদ্বোধনী বক্তব্যে জানান।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সকাল ও বিকেল দুই ভাগে ৮১টি দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, “আমরা একটি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নির্বাচন কমিশন থেকে পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দিয়ে থাকি। এই সময়কালে তারা একটি জাতীয় নির্বাচন এবং অন্তত চারটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারে। পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো তিন ধরনের প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়—জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সাত দিনের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন, এক মাসের মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন এবং প্রতি দুই বছরে একটি দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদন। এসব প্রতিবেদন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাস্তবতা হলো, অতীতে যারা নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন, তাদের প্রতিবেদন থেকে আমরা খুব বেশি উপকৃত হতে পারিনি।”

তিনি আরও বলেন, “আপনাদের অনুরোধে পর্যবেক্ষকদের বয়সসীমা ২১ বছরে নামিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু ২১ বছরের একজন তরুণ কতটা অভিজ্ঞ হতে পারে, তা আমরা সবাই উপলব্ধি করতে পারি। তাই বড় চ্যালেঞ্জ হলো—এই প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে তাদেরকে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষিত করে যোগ্য করে তুলবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন, সেটা হলো নিরপেক্ষতা। পর্যবেক্ষকদের শতভাগ নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে।”

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ আরও বলেন, “নির্বাচন সংক্রান্ত যত আইন ও বিধিমালা রয়েছে, সেগুলো পর্যবেক্ষকদের জানা প্রয়োজন। জানতে হবে নিবন্ধন বাতিলের কারণসমূহ কী, কোনো পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলে তদন্তের নিয়মাবলি কী এবং কীভাবে তা নিষ্পত্তি করা হয়। এগুলো জানা থাকলে অনেক ভুলভ্রান্তি এড়িয়ে চলা সম্ভব।”

আরও পড়ুন