
দীর্ঘ আট মাসের সংলাপ ও মতৈক্য প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে চূড়ান্ত হওয়া বহুল কাঙ্ক্ষিত ঐতিহাসিক জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপি-জামায়াতসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা।
আজ শুক্রবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে সনদে স্বাক্ষর করেন তারা।
অনুষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ((বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদ, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন ও নাগরিক ঐক্যের প্রতিনিধিরা সনদে স্বাক্ষর করেছেন।
এর আগে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বিকেল চারটা ৩৭ মিনিটে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। এতে যোগ দিয়েছেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা। অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও হাইকমিশনের কর্মকর্তারাও।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বিকেল চারটার অনুষ্ঠান শুরু হতে কয়েক মিনিট দেরি হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের অনেক স্রোত, কিন্তু মোহনা একটি। সেটি হলো গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ তৈরি করা। সেই স্বপ্ন, প্রত্যাশার স্মারক যতটুকু অর্জিত হয়েছে- জুলাই জাতীয় সনদ সেটির প্রথম পদক্ষেপ।’
অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও বলেন, এই অগ্রসরমানতায় বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকের ভূমিকা আছে। প্রত্যাশা থাকবে রাজনৈতিক দলগুলো মত ও পথের পার্থক্য থাকা স্বত্ত্বেও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এর আগে দুপুরের দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ ব্যানারে অবস্থান নেন বেশ কয়েকজন। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এতে ক্ষুদ্ধ ‘জুলাই যোদ্ধারা’ সংসদ ভবন এলাকা থেকে বের হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের গাড়ি, বেশ কয়েকটি ট্রাক ও বাস ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ও ধাওয়া দেয়। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন।







