
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই দেশে গণভোটের আয়োজন করার সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ বিষয়ে দ্রুত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে যোগাযোগ করার তাগিদ দিয়েছে কমিশন।
মঙ্গলবার (তারিখ উল্লেখ নেই, তবে ‘মঙ্গলবার দুপুরে’ বলা হয়েছে) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ এই তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ড. আলী রীয়াজ বলেন, কমিশনের সুপারিশকৃত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার রূপরেখা আজকেই (মঙ্গলবার) দেশের সব রাজনৈতিক দলের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। যে সমস্ত বিষয় বর্তমানে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়, সেগুলোকে সরকারি অধ্যাদেশের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
তিনি আরও বলেন, সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে বাস্তবায়নের জন্য মোট ৪৮টি বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই ৪৮টি বিষয় একসঙ্গে বাস্তবায়নের জন্য জনগণের ওপর গণভোট হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথম নয় মাসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন করা হবে। এই পরিষদটি ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ বাস্তবায়ন করবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি সংবিধান সংস্কার পরিষদ ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদের বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না করে, তাহলে জুলাই সনদে থাকা বিষয়গুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে প্রতিস্থাপিত হবে।
জুলাই সনদে স্বাক্ষর প্রসঙ্গে ড. আলী রীয়াজ বলেন, যেসব রাজনৈতিক দল এখনো সনদে স্বাক্ষর করেনি, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে এবং বর্তমানেও আলোচনা চলছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এনসিপি দ্রুতই সনদে স্বাক্ষর করবে।
এর আগে আজ মঙ্গলবার সকালে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কিত এই সুপারিশমালা জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে।








