
বিদেশ যাত্রা, ভিসা আবেদন কিংবা পড়াশোনার জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ ইংরেজিতে প্রয়োজন? চিন্তা নেই! এখন আর অফিসে দৌড়াতে হবে না। বাংলাদেশ সরকারের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন পোর্টাল ব্যবহার করে খুব সহজেই এই কাজটি আপনি ঘরে বসেই অনলাইনে সম্পন্ন করতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন ইংরেজিতে রূপান্তরের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে নিচে তুলে ধরা হলো:
ধাপে ধাপে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন (বাংলা থেকে ইংরেজি)
আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদটি ইংরেজিতে রূপান্তর করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
১. সরকারি পোর্টালে প্রবেশ
প্রথমেই আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে বাংলাদেশ সরকারের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন পোর্টাল: http://bdris.gov.bd -এ যান।
২. সংশোধন অপশন নির্বাচন ও অনুসন্ধান
ওয়েবসাইটে গিয়ে “জন্ম নিবন্ধন সংশোধন” অপশনটি নির্বাচন করুন। এরপর আপনার ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং জন্ম তারিখ সঠিকভাবে লিখে সার্চ করুন।
৩. নিবন্ধন কার্যালয় নির্বাচন
আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদটি যে কার্যালয় থেকে ইস্যু করা হয়েছিল—যেমন ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন—সেই অফিসটি নির্বাচন করুন।
৪. তথ্য ইংরেজিতে প্রদান
ফর্মের সংশ্লিষ্ট ঘরগুলোতে আপনার নাম, পিতামাতার নাম, ঠিকানা ইত্যাদি সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে ইংরেজিতে লিখুন। মনে রাখবেন, প্রতিটি ঘর আলাদাভাবে পূরণ করতে হবে।
৫. ঠিকানা ও যোগাযোগ তথ্য পূরণ
জন্মস্থান এবং বর্তমান ঠিকানা ইংরেজিতে প্রদান করুন। পাশাপাশি, আপনার মোবাইল নম্বর এবং বাবা-মায়ের সাথে আপনার সম্পর্ক (যেমন: পুত্র/কন্যা) উল্লেখ করতে ভুলবেন না।
৬. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড
এই ধাপে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্ক্যান করা নথি আপলোড করতে হবে। যেমন:
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
- এসএসসি/এইচএসসি সার্টিফিকেট
- পুরানো জন্ম নিবন্ধন সনদ
গুরুত্বপূর্ণ: আপলোড করা প্রতিটি ফাইলের আকার অবশ্যই ৯৭৬ কেবির (KB) মধ্যে রাখতে হবে।
৭. সরকারি ফি পরিশোধ
ডকুমেন্ট আপলোড করার পর, আপনাকে ১০০ টাকা সরকারি ফি পরিশোধ করতে হবে। এই পেমেন্ট আপনি নগদ, বিকাশ বা অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে করতে পারবেন।
৮. আবেদন জমা ও রেফারেন্স নম্বর সংরক্ষণ
সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ এবং পেমেন্ট সম্পন্ন হলে “আবেদন জমা দিন” বাটনে ক্লিক করুন। আবেদন সফলভাবে জমা হলে আপনি একটি রেফারেন্স নম্বর পাবেন। এই নম্বরটি অবশ্যই ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করে রাখুন।
৯. প্রিন্ট কপি ও হার্ড কপি জমা
অনলাইন আবেদন সফলভাবে জমা হওয়ার পর, আপনাকে আবেদনের একটি প্রিন্ট কপি নিতে হবে। এই প্রিন্ট কপিটি নির্ধারিত তারিখে আপনার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন অফিসে জমা দিতে হবে।
এক নজরে প্রয়োজনীয় নথিপত্র
অনলাইন আবেদন এবং পরবর্তীতে অফিসে জমা দেওয়ার জন্য আপনার নিচের কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন হবে:
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা পাসপোর্ট
- মাধ্যমিক/উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এসএসসি/এইচএসসি)
- পুরানো জন্ম নিবন্ধন সনদ (বাংলা কপি)







