জুলাই ৭, ২০২৫

সোমবার ৭ জুলাই, ২০২৫

গণপিটুনি তরুণদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলছে: সানেমের জরিপ

দেশে গণপিটুনির ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে এবং এটি তরুণদের দৈনন্দিন জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন দেশের ৭১.৫ শতাংশ তরুণ। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) পরিচালিত সাম্প্রতিক এক জরিপে এই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে।

‘ইউথ ইন ট্রানজিশন: ন্যাভিগেটিং জবস, এডুকেশন অ্যান্ড চেঞ্জিং পলিটিক্যাল সিনারিও পোস্ট-জুলাই মুভমেন্ট’ শীর্ষক এই জরিপটি দেশের ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ২ হাজার তরুণ-তরুণীর মতামতের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। এতে ১৭টি কেস স্টাডি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

জরিপে দেখা গেছে, গণপিটুনি বা ‘মব জাস্টিস’ প্রসঙ্গে ১৫.১ শতাংশ তরুণ নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছেন, এবং ১৩.৪ শতাংশ মনে করেন এই বিষয়টি তাদের দৈনন্দিন জীবনে তেমন প্রভাব ফেলছে না। তবে, ৮০.২ শতাংশ তরুণ সাম্প্রতিক সময়ে আগুন লাগানো, ডাকাতি ও চুরির মতো অপরাধজনিত ঘটনাগুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে ১২.১ শতাংশ নিরপেক্ষ এবং ৭.৭ শতাংশ উদ্বিগ্ন নন।

ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা বিষয়ে তরুণদের মতামত ছিল বিভক্ত। ৩৪.৫ শতাংশ তরুণ মনে করেন, এসব ঘটনা তাদের জীবনে প্রভাব ফেলছে। অন্যদিকে, ২৫.৭ শতাংশ ছিলেন নিরপেক্ষ এবং ৩৯.৯ শতাংশ একমত নন। লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রসঙ্গে ৫৩.৬ শতাংশ তরুণ মনে করেন, এটি তাদের জীবনে প্রভাব ফেলছে। ২৮.২ শতাংশ নিরপেক্ষ এবং ১৮.৩ শতাংশ এর সঙ্গে একমত নন।

নারীবাদ ও উদারপন্থি মতাদর্শের প্রতি সামাজিক প্রতিক্রিয়াকে ৪৪.২ শতাংশ তরুণ একটি উদ্বেগজনক বিষয় হিসেবে দেখছেন। ৩৫.২ শতাংশ তরুণ এ বিষয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছেন।

সরকারি পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন বা বিলম্ব নিয়ে ৩৭.৪ শতাংশ তরুণ উদ্বেগ জানিয়েছেন, তবে ৪৫.৫ শতাংশ এ বিষয়ে নিরপেক্ষ ছিলেন।

রাজনৈতিক সহিংসতা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংঘর্ষ নিয়ে ৪৬.৭ শতাংশ তরুণ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি, রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টভাবে গ্রেফতার ও মামলার কারণে দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব পড়ছে বলে মনে করেন ৫৬.২ শতাংশ তরুণ।

জরিপটি পরিচালনা করেছেন সানেম-এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান। তার গবেষণা দলে আরও ছিলেন একরামুল হাসান, শাফা তাসনিম, এশরাত শারমিন, নীলাদ্রি নভিয়া নভেলি এবং মো. রজিব।

আরও পড়ুন