কুমিল্লার হোমনায় পূর্বশত্রুতার জেরে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৭ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।
একই সঙ্গে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
গতকাল রোববার (১৯ মে) বিকেলে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত (এপিপি) রেবেকা সুলতানা বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে খুন হন হোমনা উপজেলার ছোট গানিয়ারচর এলাকার ব্যবসায়ী মো. সাদেক মিয়া। ওই দিন দুপুরে বাড়ি থেকে ফোনে ডেকে নিয়ে সাদেক মিয়ার হাত–পা কেটে এক খেতে তাঁকে ফেলে রাখা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সকাল আটটায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সাদেক মিয়ার স্ত্রী রেখা আক্তার ১৮ জনের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দীর্ঘ শুনানির পর আদালত সাদেক মিয়া হত্যা মামলায় সাতজনের মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার বাদী রেখা আক্তার জানান, আসামিরা সবাই সাদেক মিয়ার পূর্ব পরিচিত। তাদের কাছে সাদেক মিয়া যেসব টাকা পায় সেগুলো যেন না দিতে হয় সে জন্য পরিকল্পনা করে তাঁকে হত্যা করা হয়। তিনি পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় এনে আদালতের রায় কার্য করার দাবি জানান।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত (এপিপি) রেবেকা সুলতানা জানান, সাদেক মিয়া মৃত্যুর আগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনায় জড়িতদের নাম উল্লেখ করে জবানবন্দি দিয়েছেন। বিজ্ঞ বিচারক রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি ও খালাসপ্রাপ্ত একজন উপস্থিত ছিলেন।