
দেশে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আজ রবিবার থেকেই সারা দেশে একযোগে চিরুনি অভিযান শুরু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, এই অভিযানে কোনো অপরাধী বা বিশৃঙ্খলাকারীকে ছাড় দেওয়া হবে না। তবে তিনি জনসাধারণকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে রাষ্ট্রের।
রবিবার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড এবং খুলনার হত্যাকাণ্ডের বিষয়েও কথা বলেন।
তিনি জানান, মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে ৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত তৎপর।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উল্লেখ করেন, মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। খুলনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনাতেও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উপদেষ্টা দ্ব্যর্থহীনভাবে জানিয়েছেন, সরকার বিশ্বাস করে, অপরাধী যেই দলেরই হোক না কেন, সে একজন অপরাধীই। রাজনৈতিক বা অন্য কোনো পরিচয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না এবং ভবিষ্যতেও দেওয়া হবে না। পুলিশ কোনো অপরাধীকেই প্রশ্রয় দেবে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও পুনর্ব্যক্ত করেন যে, দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সরকার কোনো আপস করবে না। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন কমিশনের সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে সরকার নির্বাচনকে ঘিরে যেসব নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছে, তা ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই শেষ করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, সরকারের অংশটুকু যথাসময়ে ও সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে তারা বদ্ধপরিকর।