ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪

শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

সব ভোট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার দাবি জনপ্রতিনিধিদের

Rising Cumilla - Bangladesh Election Commission
ছবি: সংগৃহীত

দেশের জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ ও সিটি করপোরেশন নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা। প্রয়োজনে তাঁরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। এছাড়া স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন থেকে দলীয় প্রতীকে বাদ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।

আজ রোববার জাতীয় সংসদে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে তারা এসব দাবি জানান। বৈঠকে সিটি করপোরেশন, ইউনিয়ন পরিষদসহ সকল স্থানীয় সরকারের ২০ জন প্রতিনিধি ছিলেন।

বৈঠক শেষে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিরা সবাই বলেছেন নির্দলীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। যে পদ্ধতিতে আছে, সেই পদ্ধতিতেই যেন হয়, সংসদীয় পদ্ধতিতে যেন না হয়। তাঁরা নারী প্রতিনিধিত্ব অর্থবহ করতে ঘূর্ণমান পদ্ধতির কথা বলেছেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অর্থবহ করতে সব স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি এবং সংসদ সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন যেন হয় সেটি বলেছেন। অনেকেই স্থানীয় সরকার ভোট বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারে অধীনেই সংসদ নির্বাচনের আগে বা পরে করার জন্য বলেছেন। একই সঙ্গে তাঁরা সব সময় সব নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা জন্য বলেছেন। এ জন্য তাঁরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ বাড়ানোর কথা বলেছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসকদের পরিবর্তে ইসি কর্মকর্তাদের চান তাঁরা।

ড. বদিউল আলম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পদচ্যুত করায় মনঃক্ষুণ্ন, সবাই প্রায় অসন্তুষ্ট। কিন্তু সবাই চান সত্যিকারের স্থানীয় সরকার যেন প্রতিষ্ঠিত হয়। কর্তৃত্ববাদী সরকার হয়েছিল, সেখানে স্থানীয় সরকার শক্তিশালী হলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হতো। একই সঙ্গে তাঁরা স্থানীয় সরকার সংসদ সদস্য এবং কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণমুক্ত যেন হয় সেটা চেয়েছেন।

জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ ভবনে এসে সম্মানিত বোধ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এই সুন্দর ভবনে যেন কখনোই আর অসুন্দর ব্যক্তিরা প্রবেশ করতে না পারেন সেই কথাও বলেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কমিশন কাজ শেষ করবে। আমরা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই সততা, নিষ্ঠার সঙ্গে শেষ করতে চাই। শেষ পর্যন্ত আমরা প্রস্তাব নেব।

সূত্র জানায়, বৈঠকে জনপ্রতিনিধি ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত এসেছে। অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে-দিনের ভোট যেন রাতে না হওয়া; আগের সরকারের আমলের কেউ যেন পুনর্বহাল হতে না পারে; সংরক্ষিত নারী আসনে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে ভোট; মেয়রের ক্ষমতা কমানোর জন্য প্যানেল থেকে একজন পুরুষ ও একজন নারীকে স্বাক্ষরের ক্ষমতা দেওয়া; উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানদের ক্ষমতায়িত করা; ভোটের সময় আঙুলের ছাপ নেওয়া, যাতে একজনে ভোট আরেকজন দিতে না পারে; স্থানীয় সরকারের জন্য সমন্বিত আইন করা এবং কোনো ভোটার তার নির্বাচনি এলাকার বাইরে অবস্থান করলে, এমনকি প্রবাসে থাকলেও ই-ভোটিংয়ের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ রাখা।