নভেম্বর ১৭, ২০২৪

রবিবার ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

The Prime Minister inaugurated the third terminal of the airport
বোর্ডিং পাস নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী (ছবি: ফোকাস বাংলা)

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের একাংশের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শনিবার (৭ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা স্মারক দেওয়া হয়।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে পুরো তৃতীয় টার্মিনাল ঘুরে দেখেন। এ সময় চেকিং পয়েন্ট, ইমিগ্রেশন কাউন্টার, প্রি-বোর্ডিং সিকিউরিটি জোন, বোর্ডিং ব্রিজ ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ যজ্ঞের স্থিরচিত্র পরিদর্শন করেন তিনি।

এ সময় তাকে ব্রিফ করেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (বেবিচক) এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিংয়ের মধ্য দিয়ে দেশ-বিদেশের মানুষের জন্য একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি-সম্বলিত টার্মিনালের দ্বার উন্মোচিত হলো। এরই মধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে এ টার্মিনালের। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দেশ-বিদেশের যাত্রীরা এ টার্মিনালের সবধরনের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।

উদ্বোধনের পরই বিমান পার্কিং করা যাবে এ টার্মিনালে। তবে এটি যাত্রীদের জন্য এটি উন্মুক্ত হবে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ। বছরে এক কোটি ৬০ লাখ যাত্রী সেবা পাবেন এ টার্মিনালে।

সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের আদলেই তৈরি শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। নকশাও করেছেন চাঙ্গি বিমানবন্দরের নকশাকারক রোহানি বাহরিন।

যাত্রীদের জন্য থাকছে একসাথে এক হাজার ২৩০টি গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা। লাগেজ ব্যবস্থাপনাসহ পুরো ইমিগ্রেশন সিস্টেম চলবে আধুনিক সফটওয়্যারে।

৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে, তৃতীয় টার্মিনালনালে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গ মিটারের একটি ফ্লোর স্পেস, ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬৬টি ডিপার্চার ইমিগ্রেশন ডেস্ক, ৫৯টি আগমন ইমিগ্রেশন এবং ৩টি ভিআইপি ইমিগ্রেশন ডেস্ক রয়েছে। ৩য় টার্মিনাল পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হওয়ার পর ঢাকা বিমানবন্দরের বার্ষিক যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এতে বার্ষিক যাত্রী হ্যান্ডলিং ক্ষমতা হবে ২৪ মিলিয়ন (পুরানো টার্মিনালসহ) যা এখন মাত্র ৮ মিলিয়ন এবং বিমানবন্দরটি প্রতি বছর ৫ লাখ টন কার্গো হ্যান্ডেল করতে পারে। ৩৭টি নতুন এয়ারক্রাফ্ট পার্কিং এরিয়া এবং এপ্রোন এলাকায় সংযোগকারী দুটি ট্যাক্সিওয়ের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।

টার্মিনালে যাত্রীদের হাটার কষ্ট দূর করবে চলন্ত হাটার পথ। দীর্ঘ লাইনের কষ্ট এড়াতে থাকছে ১১৫টি চেক ইন কাউন্টার ও ৬৪টি ইমিগ্রেশন কাউন্টার। লাগেজ টানার জন্য থাকবে ১৬টি কনভেয়ার বেল্ট।

তৃতীয় টার্মিনালটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের অধীনে একটি জাপানি কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ের তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পটি ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯-এ শুরু হয়। সরকার ৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) অবশিষ্ট অর্থায়ন করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, তৃতীয় টার্মিনালের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রমের আগে বিভিন্ন বিদেশি এয়ারলাইন্স ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে চায়, যা দেশের এভিয়েশন সেক্টরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে একটি বড় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।