
কুমিল্লার লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিমাদ্রী খীসা ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের গৈয়ারভাঙ্গায় অবস্থিত দারুস শরফ কমপ্লেক্স এতিমখানা ও মাদ্রাসার ছাত্র-এতিমদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় এবং মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেছেন।
ঈদের দিনে যখন সবাই পরিবারের সাথে আনন্দ উদযাপন করে, তখন এতিম শিশুদের জন্য দিনটি অন্যরকম। তাদের জন্য অপেক্ষা করেনা বাবা-মায়েরা। তাদের ঈদ কাটে অন্যান্য দিনের মতোই। এই পরিস্থিতিতে, লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিমাদ্রী খীসার এই উদ্যোগ এতিম শিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) দুপুরে, ইউএনও হিমাদ্রী খীসা খাবার নিয়ে দারুস শরফ কমপ্লেক্সে যান। সেখানে তিনি ১৩ জন এতিম শিশু ও ৮ জন অসহায় শিশুর সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং তাদের সাথে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন। এসময় তিনি শিশুদের লেখাপড়া ও স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন।
এ বিষয়ে গৈয়ারভাঙ্গা দারুস শরফ কমপ্লেক্সের প্রধান শিক্ষক হাফেজ সাইফুল ইসলাম তালুকদার জানান, তাদের এতিমখানায় ২১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে, যাদের মধ্যে ১৩ জন এতিম শিশু এবং বাকিরা অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। ঈদের ছুটিতে এতিম ও অসহায় শিশুরা এতিমখানায় অবস্থান করার বিষয়টি জানতে পেরে ইউএনও ম্যাডাম তাদের জন্য খাবার নিয়ে আসেন এবং তাদের সাথে একসাথে বসে মধ্যাহ্ন ভোজ সারেন।
এ বিষয়ে লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিমাদ্রী খীসা বলেন, “ঈদের ছুটিতে সবাই যখন খুশি মনে বাড়ি চলে যায়, তখন এতিমখানার এতিম শিশুদের যাওয়ার কোনো জায়গা থাকে না। তাই, তাদের বাড়ি যাওয়ার দুঃখ ভোলাতে এবং ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তাদের জন্য ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
ইউএনও হিমাদ্রী খীসার এই মানবিক উদ্যোগ স্থানীয়দের মধ্যে প্রশংসিত হয়েছে।