নভেম্বর ১৮, ২০২৪

সোমবার ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

রো‌হিঙ্গাদের সহায়তায় আরও ৪২ কোটি টাকা দেবে যুক্তরাজ্য

The UK will give another 42 million rupees to help the Rohingyas
রো‌হিঙ্গাদের সহায়তায় আরও ৪২ কোটি টাকা দেবে যুক্তরাজ্য। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার ও ভাসান চরে রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য নতুন করে আরো ৩,০০০,০০০ লাখ পাউন্ড (প্রায় ৪২ কোটি টাকা) সহায়তা ঘোষণা করেছেন যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টন।

আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ হাইকমিশন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্যার ফিলিপ বার্টন পঞ্চম যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ কৌশলগত সংলাপে অংশগ্রহণের জন্য বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছেন।

স্যার ফিলিপ বার্টন বলেন, ‘আমি যুক্তরাজ্যের অবদান হিসেবে ইউএনএইচসিআর’কে আরও ৩,০০০,০০০ পাউন্ড সহায়তা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত। এই অর্থ কক্সবাজার ও ভাসানচরের উদ্বাস্তুদের স্বাস্থ্যসেবা, বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্যবিধি এবং স্যানিটেশন পরিষেবা ও রান্নার জ্বালানি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। স্যার ফিলিপ বার্টন এখন বাংলাদেশ সফর করছেন।

যুক্তরাজ্য সরকারের এই নতুন সহায়তা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার (ইউএনএইচসিআর)-এর মাধ্যমে প্রদান করা হবে।

২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার ছয় বছর পরও যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাসহ এই সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত সকলের পাশে আছে। ২০১৭ সালের ঐ সহিংসতার পর রোহিঙ্গারা তাদের নিজ ভূমি ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।

বার্টন বলেন, ‘আমরা এই সমাধানের একটি দীর্ঘ মেয়াদী সমাধানের জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছি- যা শরণার্থীদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণভাবে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে সক্ষম করবে। সেখানকার অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা স্থানীয়দের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা বাংলাদেশী মানুষের সহায়তায় ৩৬৫ মিলিয়ন পাউন্ড (৫০০০ কোটি টাকার বেশি) প্রদান করেছে।

স্যার ফিলিপ বার্টন পঞ্চম যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ কৌশলগত সংলাপে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ সফর করছেন।

হাই কমিশন জানিয়েছে, ‘যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে এই কৌশলগত সংলাপ একটি আধুনিক অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব বিকাশে দু’দেশের যৌথ অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে।’