
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটি রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিষয়ে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করেছে। এই পদক্ষেপটি আন্তর্জাতিক মহলের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে একটি নতুন করে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা বাড়ানোর ইঙ্গিত দেয়।
এই প্রস্তাবে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান এবং বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবটি যৌথভাবে উত্থাপন করে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ মিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই প্রস্তাবনার সমর্থনে বুধবার ১০৫টি দেশ যুক্ত হয়েছে।
২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছরই এই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়ে আসছে। চলমান প্রস্তাবটিতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকারের লাগাতার লঙ্ঘন। রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর চলমান নিপীড়ন। মানবিক সহায়তা প্রবেশাধিকারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ। বাংলাদেশে ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে রোহিঙ্গাদের অব্যাহত অনুপ্রবেশ।
এই প্রস্তাবে আরও আহ্বান জানানো হয়েছে যে, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে টেকসই সম্পৃক্ততা বজায় রাখতে হবে।
প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার পর, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সদস্য দেশগুলোকে তাদের অব্যাহত সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানায়।
তবে একই সাথে, প্রতিনিধি দলটি এই মর্মে গভীর হতাশা প্রকাশ করে যে, গত আট বছরে বাস্তুচ্যুত এই বিপুল জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর অগ্রগতি হয়নি।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল জোর দিয়ে বলেছে যে, তারা আর ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার বিরাট বোঝা বহন করতে পারছে না। পরিস্থিতি বিবেচনা করে, তারা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে জরুরি আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।






