
দেশে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় সারা দেশে বেড়েছে বৃষ্টিপাত। কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সকাল থেকেই থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই বৃষ্টিপাত আগামী রবিবার (২২ জুন) পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে, এরপর ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে।
এই টানা বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সতর্ক করেছে যে, টানা বর্ষণে পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৪ জেলায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় (শুক্রবার পর্যন্ত) পূর্বাঞ্চলের ফেনী জেলার মুহুরী নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এছাড়া, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট জেলার সারিগোয়াইন, সুনামগঞ্জ জেলার যাদুকাটা এবং নেত্রকোনা জেলার সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি বা সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এ সময় এসব জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে মূলত বর্ষার বৃষ্টিপাত হয় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে। আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, “একটি মৌসুমি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে দেশে বৃষ্টি বাড়তে পারে। এটি ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে বৃহস্পতিবারের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে অনেকটা দূরে চলে যেতে পারে। তবে মৌসুমি বায়ু বা বর্ষা সারা দেশে সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবেও সারা দেশেই বৃষ্টি বাড়বে।”
সকাল ৬টা থেকেই রাজধানীজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। সড়কে গাড়ির সংকট দেখা দিয়েছে, ফলে অনেককে ছাতা মাথায় বা ভেজা কাপড়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আজ দুপুর পর্যন্ত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১২ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি বজ্রসহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।