বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইসাথে, অমাবস্যা ও গভীর নিম্নচাপের সম্মিলিত প্রভাবে দেশের অন্তত ১৪টি উপকূলীয় জেলায় ২ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে, ২০২৫) আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বর্তমানে এটি সাগরদ্বীপ ও খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি আজ সন্ধ্যার মধ্যে সম্পূর্ণভাবে উপকূল অতিক্রম করে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তবে এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর অত্যন্ত উত্তাল রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও সতর্ক করা হয়েছে যে, অমাবস্যা এবং এই গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা এবং সাতক্ষীরা— এই ১৪টি জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ২ থেকে ৪ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উপকূলীয় অঞ্চলের জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে এবং আবহাওয়া অফিসের নিয়মিত বুলেটিন অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
