অবশেষে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপটি ক্রমে শক্তি সঞ্চয় করে আগামী কয়েকদিনে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আজ সোমবার (৮ মে) সকালে আবহাওয়ার নিয়মিত পূর্বাভাসে এ তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই লঘুচাপটি আরও ঘণীভূত হয়ে পরবর্তীতে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে এবং নিম্নচাপটি শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
এদিকে, দেশ এখন একেবারে বৃষ্টিহীন। বেড়েই চলছে তাপমাত্রা, দেশের ৪৩ জেলায় বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। গরমে ফের দুর্বিসহ হয়ে উঠছে জনজীবন। রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টি না হওয়ায় তাপমাত্রা বাড়ছে। আজ সোমবার তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। দেশের বেশির ভাগ জায়গায় তাপপ্রবাহ চলছে। তাপপ্রবাহের এলাকার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’
অন্যদিকে, কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ দুইটি আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল বিশ্লেষণ করে আজ ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, খুবই শক্তিশালী হবে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এটি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও লিখেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা সরাসরি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপর দিয়ে ১৪ মে সকাল ৬টার পর থেকে স্থল ভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সম্পর্কে শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার আগে চারটি ধাপ পার হতে হয়—লঘুচাপ, সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপ। পঞ্চম বা শেষ ধাপে গিয়ে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে এবং এর জন্য বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হতে হবে।’