সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কুমিল্লার এক প্রবাসীর স্ত্রী কুড়িগ্রামের একজনের সঙ্গে প্রেমে জড়ান। প্রেমের পূর্ণতা দিতে গিয়ে কুমিল্লা থেকে কুড়িগ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে আসেন। ইচ্ছা ছিল প্রেমিককে বিয়ে করবেন।
তবে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে প্রেমিকের বাড়িতে এসে হতভম্ব হয়ে পড়েন তিনি। প্রেমিক অপ্রাপ্ত বয়স্ক, নবম শ্রেণির ছাত্র। তা-ও আবার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। এমতাবস্থায় প্রেমিক তাকে বিয়ে করার জন্য রাজি হলেও প্রেমিকা রাজি নন।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) পুলিশ ওই মেয়েকে তার অভিভাবককের কাছে হস্তান্তর করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের দুলাল হোসেন দলুর বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছেলে হোসাইন আলী ধলডাঙ্গা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। হোসাইন আলীর সঙ্গে কুমিল্লার লাকসাম এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রীর ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
পরে প্রেমের পূর্ণতা দিতে বিয়ের দাবিতে ওই নারী গত রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রেমিক হোসাইনের বাড়িতে ওঠে।
প্রেমিকের বাড়িতে এসে দেখেন প্রেমিক অপ্রাপ্ত বয়স্ক। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই নারী বিয়ের ব্যাপার থেকে সরে আসেন। তবে প্রেমিক হোসাইন বিয়ে করতে চায়। পরে প্রেমিকা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ফোন করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস বিষয়টি ভূরুঙ্গামারী থানাকে অবগত করেন।
ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ ওই দিন রাত ২টার দিকে নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ওই নারীকে ফেরত নিয়ে যেতে তার বাবা শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। মেয়েকে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করেন বাবা শফিকুল ইসলাম। এরপর ২ দিন থানা হেফাজতে রেখে বিভিন্নভাবে মেয়ের অভিভাবককে বুঝিয়ে রাজি করায় পুলিশ। পরে বুধবার অভিভাবকের কাছে ওই নারীকে হস্তান্তর করে পুলিশ।
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুনিরুল ইসলাম জানান, উভয় পক্ষের সমঝোতায় মেয়েকে তার অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।