পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শব্দ ও বায়ু দূষণে বাংলাদেশ এক নম্বরে। এ দেশের শতকরা ৬৮ ভাগ বাস বা ট্রাকের চালক কানে শোনেন না।
গতকাল মঙ্গলবা আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে পলিথিন, পলিপ্রোপাইলিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধের কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশগ্রহণকারীদের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘পলিথিন বন্ধের কাজ ২০০২ সাল থেকে শুরু হয়েছে। এরপর যখন ২০২৪ সালে আমরা আবার কাজটি শুরু করলাম। অনেকেই আমাদের উৎসাহ দিচ্ছেন, অনেকেই আবার মনে করছেন, কাজটি কেন এক্ষুনি হয়ে যাচ্ছে না। একটু অধৈর্য হয়ে যাচ্ছেন। অনেক নেতিবাচক কথা আমাদের শুনতে হয়। এটি কোনো সমস্যা নয়।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, ‘তোমরা দেখনি, আমরা দেখেছি, আমাদের বাবাদের পাটের চটের ব্যাগ নিয়ে বাজারে যেতে। বাংলাদেশে একটি তর্ক শুরু হয়ে গেছে যে বিকল্প নেই। এটি ঠিক না। প্রথাগতভাবেই পলিথিনের বিকল্প বহুকাল আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। আমদের বাবারা যেটা নিয়ে বাজার করতে গেছেন, সেটিই আমাদের বিকল্প।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু পলিথিন শপিং ব্যাগ নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এটি সবার স্বার্থে বন্ধ করতে হবে। না হলে আমরা আমাদের মাটি, নদী, লেক, বাঁচাতে পারব না।’
পলিথিন বন্ধে ব্যক্তিগত উদ্যোগের একটি দৃষ্টান্ত দিতে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘বাজারে পলিথিন ব্যাগ দিলে আপনি নেবেন না। বলবেন, আমি বাসা থেকে ব্যাগ নিয়ে এসেছি। সেটিও তো প্রয়োগের একটি রাস্তা হতে পারে।’
অনুষ্ঠানে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল, সেন্ট জোসেফ হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুল, বনানী বিদ্যা নিকেতন, এসওএস হারমান মেইনার, হলিক্রস, ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজজের শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়। এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (দূষণ নিয়ন্ত্রণ) তপন কুমার বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।