
দেশজুড়ে অনুভূত হওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও সরবরাহ ব্যবস্থায় সাময়িক বিঘ্ন ঘটেছে। তবে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে বিপিডিবির পরিচালক (জনসংযোগ) শামীম হাসান তীব্র ভূকম্পন অনুভূত হওয়ার পর এক বার্তায় গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিপিডিবি জানায়, “শক্তিশালী ভূমিকম্পজনিত কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় সাময়িক বিঘ্ন ঘটেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।” তবে ঠিক কোন কোন বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদনের পরিমাণ কমেছে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সংস্থাটি কোনো বিস্তারিত তথ্য জানায়নি।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৫। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল নরসিংদী।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী। এরইমধ্যে ভূমিকম্পে রাজধানীসহি বিভিন্ন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থানগুলো হলো: কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, লক্ষীপুর, নীলফামারী, সীতাকুণ্ড, সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, পটুয়াখালী, বগুড়া, বরিশাল, এবং মৌলভীবাজার।





