পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে ট্রেনে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। এদিন সকাল ৬টায় ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ট্রেনযোগে ঈদযাত্রা শুরু হয়।
শনিবার (২৪ জুন) সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে এই ধূমকেতু এক্সপ্রেস ছেড়ে যায়। ঈদযাত্রার প্রথম দিনেই স্টেশনে তুলনামূলক ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
টিকিট ছাড়া কেউ যেন ঢুকতে না পারেন, সেজন্য স্টেশনে ঢোকার প্রবেশ পথেই বাঁশ দিয়ে বেরিকেড দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক যাত্রীকে আলাদাভাবে চেক করা হচ্ছে। যাদের টিকিট আছে, তাদের স্টেশনের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
গত ১৪ জুন থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। রেলওয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ জুন দেওয়া হয় ২৪ জুনের টিকিট। একইভাবে ১৫ জুন দেওয়া হয় ২৫ জুনের, ১৬ জুন ২৬ জুনের, ১৭ জুন ২৭ জুনের এবং ১৮ জুন দেওয়া হয় ২৮ জুনের অগ্রিম টিকিট।
ঈদযাত্রার ট্রেনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হয় ২২ জুন থেকে। সেই হিসাবে ২২ জুন দেওয়া হয় ২ জুলাইয়ের টিকিট। যথাক্রমে ২৩ জুন ৩ জুলাইয়ের, ২৪ জুন ৪ জুলাইয়ের, ২৫ জুন ৫ জুলাইয়ের ও ২৬ জুন ৬ জুলাইয়ের টিকিট দেওয়া হবে ফিরতি ট্রেনের টিকিট।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, এবারও ঈদযাত্রায় আসনবিহীন বা স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি হবে মোট আসনের ২৫ শতাংশ। ঢাকা (কমলাপুর), ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর ও জয়দেবপুর স্টেশন থেকে এসব টিকিট পাওয়া যাবে। শুধু যাত্রা শুরুর দিন আসনবিহীন টিকিট স্টেশনের কাউন্টার থেকে কেনা যাবে।
এবার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট শতভাগ অনলাইনে দেয়া হলেও টিকিট বিক্রিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। অনলাইনে দুই ভাগে দেয়া হয় অগ্রিম টিকিট। ঈদযাত্রায় পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট অনলাইনে পাওয়া যায় সকাল ৮টা থেকে। আর দুপুর ১২টা থেকে পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়।