বুধবার ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

ট্রলারসহ ৭ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

রাইজিং কুমিল্লা অনলাইন

Rising Cumilla -Arakan Army captures 7 Bangladeshi fishermen along with fishing trawler
ট্রলারসহ ৭ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি/ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণে মাছ শিকারে যাওয়া একটি ট্রলারসহ সাতজন বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এই ঘটনায় স্থানীয় ট্রলার মালিক ও জেলেদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বুধবার (তারিখটি উল্লেখ নেই, তবে খবর প্রদানের দিন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। যদিও অপহৃত সাত জেলের পরিচয় প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।

ঘটনার বিবরণ: কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি জানান, টেকনাফ পৌরসভার বাসিন্দা শাওন-এর মালিকানাধীন ট্রলারটি সাগরে মাছ শিকারে গিয়েছিল। এ সময় সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে ধাওয়া করে আরাকান আর্মির সদস্যরা ট্রলারসহ ওই সাত জেলেকে আটক করে নিয়ে যায়।

আরাকান আর্মির ভাষ্য: এদিকে, মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৮ অক্টোবর আরাকান আর্মির উপকূলীয় নিরাপত্তা ইউনিট সমুদ্রপথে তাদের টহল জোরদার করে। টহলকালে তারা দাবি করে যে আরাকান রাজ্যের জলসীমা অতিক্রম করে মাছ ধরতে থাকা কয়েকটি বাংলাদেশি ট্রলারকে শনাক্ত করা হয়। এর ফলেই এই আটকের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

প্রশাসনের তৎপরতা: জেলেদের অপহরণের খবর পাওয়ার পর প্রশাসনিক পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিব হাসান চৌধুরী বলেন, ‘একটি ট্রলারসহ সাত জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পাচ্ছি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের বিষয়ে আমাদের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।’

আগের ঘটনা ও বর্তমান পরিস্থিতি: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তথ্যমতে, গত আট মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমারে নাফ নদসহ সংলগ্ন এলাকা থেকে আরাকান আর্মি কর্তৃক অন্তত ৩০০ জেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে চলতি বছরের মার্চ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত অপহৃত হন প্রায় ২০০ জন। বিজিবির সহায়তায় পরবর্তীতে এই ২০০ জনের মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে কয়েক দফায় ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।

তবে, বর্তমানেও প্রায় ১০০ জেলে আরাকান আর্মির কাছে জিম্মি রয়েছে। এই ক্রমাগত অপহরণের ঘটনাপ্রবাহের কারণে অনেক জেলে বর্তমানে আতঙ্কে সাগরে মাছ শিকারে যেতেও ভয় পাচ্ছেন।

আরও পড়ুন