মার্চ ১৭, ২০২৫

সোমবার ১৭ মার্চ, ২০২৫

কুমিল্লার লাকসামে বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, ৫ জন গ্রেফতার

Rising Cumilla - Stop Rape
প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় এক গৃহবধূকে (১৯) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (১৬ মার্চ) দিনভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

লাকসাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন— উপজেলার মনোহরপুর এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ আলী (২৫), পৌরসভার শ্রীপুর মধ্যপাড়ার মো. মমিনের ছেলে মো. মাসুদ (২৩), বাতাখালী এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মনির হোসেন হৃদয় (২৩), উত্তর বিনই এলাকার মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আল আমিন (২৩) ও মধ্য লাকসাম এলাকার মৃত মোস্তাফিজ মজুমদারের স্ত্রী বিলকিছ আক্তার কল্পনা (৪০)। তাদের মধ্যে চারজন ধর্ষণে অংশ নেন। বিলকিছ আক্তার কল্পনা তার বাসায় ধর্ষণ কাজে সহায়তা করেন।

পুলিশ জানায়, নোয়াখালীর সোনাপুর এলাকার এক তরুণী ও তার স্বামী গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) লাকসামে তার নানা শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরদিন শুক্রবার ( ১৪ মার্চ) ওই দম্পতি বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে লাকসাম বাইপাস মোড় থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ওঠেন।

অটোরিকশা চালক মো. মাসুদ তাদের স্বামী-স্ত্রী কিনা জানতে চেয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে কৌশলে লাকসামের গন্ডামারা এলাকায় নিয়ে যান। এ সময় মাসুদের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া অন্য চারজন যোগ দেন। অটোরিকশা চালক মাসুদ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে এবং পরিকল্পিতভাবে লালমাই উপজেলার মগবাড়ি এলাকায় নিয়ে স্বামীকে ফেলে রেখে তরুণীকে অপহরণ করে নিয়ে যান।

পরে ভিকটিম উপজেলার পাইকপাড়া এলাকায় সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামের শ্যালক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আলীর পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর ওই নারীকে আবারও পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের তালুকদার ভিলায় অভিযুক্ত বিলকিছ আক্তার কল্পনার ভাড়া বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে পুনরায় পালাক্রমে ধর্ষণ করেন তারা।

পরে ভুক্তভোগীর স্বামী পুলিশকে বিস্তারিত জানালে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শনিবার (১৬ মার্চ) ওই গৃহবধূর মা বাদী হয়ে লাকসাম থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর রোববার দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে লাকসামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জড়িতদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

ওসি নাজনীন সুলতানা গণমাধ্যমকে বলেন, মামলার পর ঘটনায় জড়িত সব আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) তাদের আদালতে তোলা হবে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।