
কুমিল্লার লাকসামে শ্বশুরকে হত্যার দায়ে এক গৃহবধূকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তাসলিমা আক্তার নামের ওই গৃহবধূ তার শ্বশুরকে হত্যা করেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৫-এর বিচারক মোছাম্মৎ ফরিদা ইয়াসমিন এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালত তাসলিমা আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন। অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. বেলাল হোসেন ভূঁইয়া।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আশকামতা গ্রামের বাসিন্দা তাসলিমা আক্তারের স্বামী মো. বিলাল হোসেন ঢাকায় চাকরি করতেন। স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে তাসলিমা একাধিক পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জানতে পেরে তার শ্বশুর মো. চান মিয়া এর প্রতিবাদ করেন। শ্বশুরের এই প্রতিবাদে তাসলিমা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
২০১৪ সালের ১১ জুলাই গভীর রাতে তাসলিমা ঘুমন্ত শ্বশুর চান মিয়ার ওপর হামলা চালান। তিনি ধারালো অস্ত্র দিয়ে শ্বশুরের পুরুষাঙ্গ কেটে দেন এবং তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন।
হত্যাকাণ্ডের পর তাসলিমা গোসল সেরে তার নিহতের মেয়ে বেবি আক্তারকে বিষয়টি জানান। পরদিন সকালে বেবিকে সঙ্গে নিয়ে তাসলিমা লাকসাম থানায় আত্মসমর্পণ করেন।
এই লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করলেন।