কয়লা সংকটে বন্ধ হলো পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। সোমবার (৫ জুন) দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে দ্বিতীয় ইউনিটের জ্বালানি শেষ হয়ে যায়। এই অবস্থায় পায়রা পুরোপুরি বন্ধ হওয়ায় লোডশেডিং আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আগামী ২০-২৫ দিন এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ থাকতে পারে বলে এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রর বিল বকেয়া পড়েছে ৩০০ মিলিয়ন ডলার। বকেয়ার প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর নতুন করে এলসি খুললেও কয়লা আসতে সময় লাগবে অন্তত তিন সপ্তাহ। বাংলাদেশ ব্যাংক সময় মতো ডলার ছাড় করতে রাজি না হওয়ায় এই সংকট তৈরি হয়েছে।
গত মাসে চীনা বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে বিপদে পড়ে পায়রা। তখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক তৎপর হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। ফলে অন্তত ২০-২৫ দিন বন্ধ থাকবে দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
মূলত, ছয় মাসের বেশি সময় ধরে কয়লা আমদানির বিল পরিশোধ করতে পারছিল না পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। ফলাফল, মধ্য এপ্রিলের পর থেকে আর কয়লা পাঠায়নি চীনা অংশীদার। মজুদ কমতে থাকায় একটা ইউনিট গত ২৫ মে থেকেই বন্ধ। দ্বিতীয়টিও বন্ধ হলো আজ।
বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোরশেদুল আলম বলেন, ৫০ দিনের রিজার্ভ রাখার চেষ্টা করবো কারণ আমাদের কয়লার কোনো রিজার্ভ নেই।
এদিকে জ্বালানি সংকট এবং তাপমাত্রা বেড়ে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় প্রায় সারা দেশেই লোডশেডিং বেড়েছে। গতকাল রবিবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের জানান, লোডশেডিং আরও কিছুদিন থাকবে। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা কেনারও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে আরও ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগতে পারে বলে তিনি জানান।