জুন ১৮, ২০২৫

বুধবার ১৮ জুন, ২০২৫

ইলিশের মূল্য নির্ধারণের দাবি চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের

ছবি: সংগৃহীত

‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’ হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চলের পদ্মার ইলিশ তার স্বাদ ও গুণের জন্য সুপরিচিত। অথচ সম্প্রতি, এই সুস্বাদু মাছ সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ইলিশের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি রোধে এবার সরাসরি হস্তক্ষেপ চেয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) ‘জাতীয় মাছ ইলিশের মূল্য নির্ধারণে’র জন্য তিনি এই চিঠি হস্তান্তর করেন।

চিঠিতে জেলা প্রশাসক উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালে চাঁদপুরকে বাংলাদেশের প্রথম জেলা ব্র্যান্ডিং হিসেবে ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে চাঁদপুর ও পার্শ্ববর্তী জেলার কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ও আড়তদার তাদের ইচ্ছেমতো ইলিশের দাম হাঁকাচ্ছেন, যা সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। এমনকি চাঁদপুরের স্থানীয় বাসিন্দারাও ইলিশের চড়া মূল্যের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

জেলা প্রশাসক তার চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন যে, যেহেতু ইলিশ শুধু চাঁদপুরেই নয়, বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠিসহ দেশের আরও অনেক সাগর তীরবর্তী জেলায় ধরা পড়ে, তাই শুধুমাত্র চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষে মূল্য নির্ধারণের উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে না।

তিনি জোর দেন যে, জেলেদের ইলিশ উৎপাদনে কোনো খরচ না থাকলেও একদল অসাধু ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেট কৃত্রিমভাবে এর মূল্য নিয়ন্ত্রণ করছে। যেহেতু ইলিশ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত হয়, তাই আহরণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয়ের কথা বিবেচনা করে এর একটি যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরি।

মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন। চিঠির অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার বরাবরও পাঠানো হয়েছে।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, “অনেকেরই অভিযোগ, চাঁদপুর ও আশপাশের জেলার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছে, যা একেবারেই ক্রেতার নাগালের বাইরে। তাই ইলিশের মূল্য নির্ধারণ করা প্রয়োজন। আজ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। আশা করছি তারা বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।”

আরও পড়ুন