
সরকার লুট হওয়া অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রম আরও জোরদার ও বেগবান করা এবং ফ্যাসিস্ট টেরোরিস্টদের দমনের লক্ষ্যে অবিলম্বে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-টু’ শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আজকের সভায় রুটিন আলোচনার পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ এবং লুট হওয়া অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়।
তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে একটি ছোট কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, খুব দ্রুত দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা যাবে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকেই কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এ ক্ষেত্রে জনগণের সার্বিক সহযোগিতা পাওয়া যাবে। হাদির ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিদের ধরার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, হাদির ওপর হামলাটি আসন্ন নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপপ্রয়াস। এ ধরনের যে কোনো চেষ্টা সরকার কঠোর হাতে দমন করবে।
নির্বাচনী নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি জানান, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন, অর্থাৎ প্রার্থীরা, তারা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি দেওয়া হবে। যেসব প্রার্থী ইতোমধ্যে তাদের অস্ত্র জমা দিয়েছেন, তাদের অস্ত্র ফেরত দেওয়া হবে।
এ ছাড়া তিনি জানান, তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। তার নিরাপত্তার জন্য যেসব প্রস্তুতি প্রয়োজন, সবই নেওয়া হবে এবং তাকে যথাযথ নিরাপত্তা প্রদান করা হবে।









