সোমবার ১৮ আগস্ট, ২০২৫

৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ১৮ বছর পর পুনর্বহালের নির্দেশ

রাইজিং ডেস্ক

Supreme Court of Bangladesh
বাংলাদেশ হাইকোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

১৮ বছর আগে বরখাস্ত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে চাকরি হারানো কর্মকর্তাদের সব সুযোগ-সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই রায় প্রদান করেন। রায়ে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা ছিল স্বাধীন ও সার্বভৌম ক্ষমতার ওপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ।

এই কর্মকর্তারা তৎকালীন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর জোট সরকারের সময় নিয়োগ পেয়েছিলেন। পরে, ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগের অভিযোগে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।

২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর ৮৫ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য ইসিকে দেওয়া ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল করেছিলেন আপিল বিভাগ। তবে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গত বছর সুপ্রিম কোর্টে বরখাস্ত কর্মকর্তাদের পক্ষে একটি আপিল এবং চারটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহউদ্দিন দোলন, প্রবীর নিয়োগী ও মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক ও আইনজীবী মুহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া।

এর আগে, ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল এক রায়ে ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন ইসিকে। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ২৫ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ট্রাইব্যুনালের রায় স্থগিত করে আদালতে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলেন।

২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ চেম্বার বিচারপতির আদেশ বহাল রেখে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন।

আরও পড়ুন