দেশের চলমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের ধারাবাহিকভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিতি এবং প্যানেল মেয়রদের উপস্থিতিও নিশ্চিত করতে না পারায় সিটি সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাময়িকভাবে পূর্ণ আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১৪ আগস্ট) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের অনেক মেয়র ধারাবাহিকভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন এবং যোগাযোগ করেও তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়। সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়ররাও কর্মস্থলে ধারাবাহিকভাবে অনুপস্থিত রয়েছেন এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সিটি কর্পোরেশনের অনেক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে এবং জনসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই যেসব সিটি করপোরেশনে এরূপ পরিস্থিতি উদ্ভূত হয়েছে, সেসব সিটি কর্পোরেশনের সব ধরনের জনসেবা অব্যাহত রাখা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান রাখার নিমিত্ত প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে পুনরাদেশ না পাওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে পূর্ণ আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। জনস্বার্থে জারীকৃত এ আদেশ ১৪ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট তীব্র ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে তার সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা এবং মন্ত্রী-এমপিরা আত্মগোপনে চলে যান। একই ভাবে বিভিন্ন সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে।