
সাবেক কুমিল্লা-৯ আসন (কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, লালমাই ও কুমিল্লা মহানগর দক্ষিণের ১৯-২৭ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত) পুনর্বহালের দাবিতে লালমাই উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে এক বিশাল মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় লালমাই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এই মশাল মিছিল বের করা হয়।
মিছিলগুলো সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হয় এবং নেতাকর্মীরা হাতে শত শত মশাল নিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এর মধ্যে বাগমারা উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মিছিল শুরু করে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক ও বাগমারা বাজার প্রদক্ষিণ করেন। একই সময়ে, ভূলইন উত্তর ইউনিয়নে হাজাতখোলা বাজার, ভূলইন দক্ষিণ ইউনিয়নে ভূশ্চি বাজার, পেরুল উত্তর ইউনিয়নে হরিশ্চর চৌরাস্তা, পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নে আটিটি বাজার, বেলঘর উত্তর ইউনিয়নে গৈয়ারভাঙ্গা ও বেলঘর বাজার, বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়নে যুক্তিখোলা বাজার এবং বাকই উত্তর ইউনিয়নে নূরপুর বাজারেও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসব মিছিলে নেতৃত্ব দেন লালমাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মাসুদ করিম, সদস্য সচিব মো. ইউসুফ আলী মীর পিন্টু, সাবেক চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক সুমন এবং মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সর্দারসহ আরও অনেক নেতা। বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও এতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
লালমাই উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও সাবেক কুমিল্লা-৯ নির্বাচনী এলাকা বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব ইউসুফ আলী মীর পিন্টু অভিযোগ করে বলেন, কিছু ব্যক্তির “গোপন প্ররোচনায়” এলাকার মানুষের মতামত উপেক্ষা করে এই খসড়া প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তাদের নেতার নির্দেশে যেকোনো সময় আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। প্রয়োজনে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করার হুমকিও দেন তিনি।
বক্তারা বলেন, সাবেক কুমিল্লা-৯ আসন পুনর্বহাল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এবং নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আহ্বান জানান। এছাড়াও, কুমিল্লা টাউন হলে একটি বিশাল জনসভা করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তারা। তিনি সাবেক কুমিল্লা-১০ নির্বাচনী এলাকা পুনর্বহালের জন্য কুমিল্লা মহানগর দক্ষিণের ৯টি ওয়ার্ড, সদর দক্ষিণ উপজেলা এবং লালমাই উপজেলার সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।