মঙ্গলবার ২ ডিসেম্বর, ২০২৫

‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ প্রয়োগে ডাকাতি, আসামি তানিয়া আবারও গ্রেফতার

রাইজিং কুমিল্লা অনলাইন

Rising Cumilla -Robbery using 'devil's breath', accused Tania arrested again
'শয়তানের নিঃশ্বাস' প্রয়োগে ডাকাতি, আসামি তানিয়া আবারও গ্রেফতার/ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর রূপনগরে একটি চুরির ঘটনায় অবশেষে আবারও পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন ৪০ বছর বয়সী তানিয়া। তার বিরুদ্ধে এর আগে দায়ের করা মামলার সংখ্যাও ৪০টি। ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ প্রয়োগ করে মানুষকে অচেতন করে তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা হাতিয়ে নেওয়াই তানিয়ার প্রধান পেশা।

জানা গেছে, গত ৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর রূপনগরের বর্ধিত পল্লীতে এই ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত তানিয়া স্কোপোলামিন প্রয়োগ করে নাসিমা আক্তার নামে এক নারীর কাছ থেকে প্রায় ২৩ ভরি সোনা এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।

ওইদিনের ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, লাল রঙের পোশাক পরা এক নারী একটি ভবনে প্রবেশ করছেন। সম্ভবত কোনো পরিচয়ের সূত্র ধরে তিনি টার্গেট ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। কিছু সময় পর সেই একই নারীকে স্বাভাবিকভাবে হেঁটে ভবন থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।

ভুক্তভোগী নাসিমা আক্তারের দাবি, ওই নারী ফ্ল্যাটে ঢোকার কিছুক্ষণ পরেই তিনি স্বাভাবিক চেতনা হারিয়ে ফেলেন। নাসিমা জানান, অভিযুক্ত নারী এমন কিছু একটা ব্যবহার করেছিলেন, যার নিঃশ্বাস শুধু নাক দিয়ে মস্তিষ্কে প্রবেশ করে। তিনি সবকিছু দেখতে বা বুঝতে পারলেও কাউকে কিছু বোঝাতে পারছিলেন না। এই অবস্থায় মুহূর্তেই কোনো কিছু না বুঝে তিনি ওই নারীর নির্দেশনামতো স্বর্ণালংকারসহ সব কিছু তুলে দেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নাসিমা আক্তারের স্বামী বেলাল হোসেন রূপনগর থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। এরপরই পুলিশের তদন্ত দল মূলহোতা তানিয়াকে চিহ্নিত করে। গত ১০ নভেম্বর দিবাগত রাতে উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদ আলম জানান, যাচাই করার পর দেখা যায় অভিযুক্ত নারী তানিয়ার বিরুদ্ধে এর আগেও ৩৮টি মামলা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, “আমাদের থানায় সম্প্রতি বেলাল নামের এক ব্যক্তি একটি মামলা করেন। আর ইস্টার্ন হাউজিংয়ে সবুজ নামের আরেক ব্যক্তির বাসায় লুটের ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়।” সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৪০টি।

ওসি আরও জানান, তানিয়া একটি মাফিয়া চক্রের অংশ। বর্তমানে তার সঙ্গে থাকা চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও শনাক্ত করার কাজ চলছে।

আরও পড়ুন