আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের অধীনে নারীদের ওপর আরও এক বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এতে করে কোনো আফগান নারী অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক নারীর সামনে শব্দ করে নামাজ বা কোরআন শরিফ পড়তে পারবেন না।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় ফক্স নিউজের অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তালেবান সরকারের পাপ ও পূণ্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী খালিদ হানাফি বলেছেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী যখন নামাজ বা কোরআন পড়বেন এবং তখন তার পাশ দিয়ে কোনো নারী গেলে তিনি যেন কোনো শব্দ শুনতে না পারেন।
হানাফি জানিয়েছেন, একজন নারীর কণ্ঠস্বরকে ‘আওরাহ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়- যার অর্থ এটি সবসময় গোপন করা উচিত এবং জনসমক্ষে শোনা উচিত নয়। এমনকি কোনো নারীরও অন্য নারীর আওয়াজ শোনা উচিত নয়। আর এই কারণেই এই নিয়ম।
ফক্স নিউজ বলছে, ইতোমধ্যে তালেবান শাসনের অধীনে আফগানিস্তানের নারীরা প্রকাশ্যে কথা বলতে পারেন না। তাদের মুখসহ পুরো শরীর ঢেকে রাখতে হয়।
গত সোমবার হানাফি বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর জন্য অন্য প্রাপ্তবয়স্ক নারীর সামনে কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করা নিষিদ্ধ। এমনকি আল্লাহু আকবার উচ্চারণ করাও অনুমোদিত নয়।
এদিকে হানাফির এমন মন্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফও। প্রতিবেদন অনুযায়ী, হানাফি জানিয়েছেন যে একজন নারীর কণ্ঠস্বরকে ‘আওরাহ’ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যার অর্থ এটি সবসময় গোপন রাখা উচিত এবং জনসমক্ষে শোনানো উচিত নয়। এমনকি কোনো নারীরও উচিত নয় অন্য কোনো নারীর আওয়াজ শোনা।
এর আগে গত আগস্টে তালেবান সরকারের পাপ ও পূণ্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আরোপিত আইনে বলা হয়েছে, জনসমক্ষে বা বাড়ির ভেতরে নারীরা জোরে কথা বলতে পারবেন না। বাড়িতে এমনভাবে কথা বলতে হবে যেন বাইরে তাদের কণ্ঠস্বর কেউ শুনতে না পারে।